ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শামীমা ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ছিলেন। গতকাল বিকেলে মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডে নিলয় কমপ্রিহেনসিভ হোল্ডিংয়ের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের র্যাব সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে গত বুধবার রাতে রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় মামলা করা হয়। এ মামলাতেই রাসেল দম্পতিকে গ্রেফতার দেখায় র্যাব। গুলশান থানার এসআই অনিন্দ তালুকদার বলেন, আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক মামলাটি দায়ের করেন। মামলার নম্বর- ১৯।
এজাহারের বরাত দিয়ে গুলশান থানার পুলিশ জানায়, গ্রাহক আরিফ বাকের ও তার বন্ধুরা ইভ্যালির চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে কিছু পণ্যের অর্ডার দেন। গত ২৯ মে থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত আরেফ বাকের বিভিন্ন সময় পণ্যের মূল্য বাবদ ৩ লাখ ১০ হাজার ৫৯৭ টাকা অনলাইন ব্যাংকিং ও একটি ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। পণ্য ৭ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে দিতে ব্যর্থ হলে সম্পূর্ণ টাকা ফেরতের অঙ্গীকার করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। সবশেষ ৫ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির গ্রাহকসেবা শাখায় (কাস্টম কেয়ার সেন্টার) যোগাযোগ করে পণ্য পেতে ব্যর্থ হন। এর আগে যতবার যোগাযোগ করা হয়, ততবারই তারা দেব-দিচ্ছি বলে টালবাহানা করে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ৯ সেপ্টেম্বর বাকেরসহ তিনজন ধানমন্ডির ১৪ নম্বর রোডে ইভ্যালির অফিসে যান ও প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেলের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তারা বাধার শিকার হন। পরে বাকের বন্ধুদের নিয়ে ইভ্যালির অফিসে প্রতিনিধিদের সঙ্গে পণ্যের বিষয়ে কথা বলতে গেলে তারা চিৎকার-চেঁচামেচি করেন। একপর্যায়ে অফিসের ভেতর থেকে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল তাকে ভয়ভীতি দেখান ও তাদের টাকা দিতে অস্বীকার করেন। একপর্যায়ে তিনি তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেন। তখন ইভ্যালির চেয়ারম্যান সেখানে উপস্থিত হয়ে পণ্য অথবা টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। তিনিও তাদের ভয়ভীতি, হুমকি দেওয়াসহ চরম দুর্ব্যবহার করেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ইভ্যালি পণ্য বিক্রির নামে নানা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তার মতো অসংখ্য গ্রাহকের ৭০০-৮০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।
এদিকে, মামলাটি তদন্ত করে আগামী ২১ অক্টোবর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল মামলার এজাহার আদালতে পৌঁছালে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এজাহার গ্রহণ করে এই আদেশ দেন।
গ্রেফতারের বিরোধিতা করে গ্রাহকদের বিক্ষোভ: গতকাল বিকেলে মিনিটে ইভ্যালির চেয়ারম্যান ও সিইওর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। অভিযানে ফ্ল্যাট তল্লাশি করে তাদের হেফাজতে নেয় র্যাব। এরইমধ্যে রাসেলের বাসায় অভিযানের কথা শুনে ইভ্যালির গ্রাহকরা ঘটনাস্থলে হাজির হন। এ সময় তারা তাদের গ্রেফতারের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করেন। এরপর তারা সেøাগান দিতে থাকেন ‘রাসেল ভাইয়ের কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’। রাসেলকে নিয়ে যেতে র্যাবকে বাধা দেন তারা। অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন। উপস্থিত এক গ্রাহক কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমি তিন লাখ টাকার চেক পেয়েছি। এখন রাসেলকে গ্রেফতার করা হলো। এখন আমার টাকার কী হবে। আমরা তো এতদিন আশায় ছিলাম যে টাকা ফেরত পাব। কিন্তু তিনি যদি কারাগারে থাকেন, তাহলে তো আর টাকা ফেরত নাও পাওয়া যেতে পারে। এখন কী করব, কোথায় যাব?
এদিকে বিক্ষোভের মাঝে বিকেল ৫টা ১৭ মিনিটে র্যাব-২ সদস্যরা একটি সাদা মাইক্রোতে রাসেল দম্পতিকে ওঠান। তবে এ সময় তাদের হাতে কোনো হাতকড়া পরানো হয়নি। রাসেলের পরনে কালো রঙের টি শার্ট। পরে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বিক্ষোভের মাঝখান দিয়ে র্যাব সদস্যরা তাদের নিয়ে যান। বিক্ষোভকারীরা এসময় গাড়িটি আটকে ধরেন। গ্রাহকদের দাবি, টাকা যেন ফেরত পান তারা। প্রয়োজনে রাসেলকে আরও সময় দেয়া হোক। নইলে আইনি জটিলতায় টাকা ফেরত নাও পেতে পারেন তারা।
অভিযানে অংশ নেওয়া র্যাবের এক কর্মকর্তা বলেন, গুলশান থানায় করা মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের র্যাব সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাসায় কি কোনো কিছু জব্দ করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
ইভ্যালির কার্যালয়ে র্যাবের অভিযান: রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেলের বাসায় অভিযান ও তাকে গ্রেফতারের পর ইভ্যালির ধানমন্ডির কার্যালয়ে এসেছিল র্যাব সদস্যরা। এ সময় ইভ্যালি কার্যালয়ে তারা ১০ মিনিট মতো অবস্থান করেন। তবে এখান থেকে কাউকে আটক করা হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে র্যাবের একটি টিম ইভ্যালির কার্যালয়ে ঢোকে। সেখানে তারা মিনিট দশেক মতো অবস্থান করার পর বের হয়ে আসে। এরপর তারা ইভ্যালি কার্যালয় ত্যাগ করে। এ সময় র্যাবের এই টিমে ৬৫-৭০ জন সদস্য ছিল বলেও জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। ইভ্যালির পক্ষ থেকে এবিষয়ে কারো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। বিল্ডিংয়ের সিকিউরিটি গার্ডরা জানিয়েছেন, ইভ্যালির কার্যালয়ে এখন কেউ নেই। সবাই চলে গেছে, অফিস আজকের মতো বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেলের বাসায় অভিযান ও তাকে গ্রেফতারের খবর শুনে ইভ্যালির অনেক গ্রাহকই ভিড় জমান ইভ্যালির কার্যালয়ের সামনে। তানভীর আহমেদ নামে একজন গ্রাহক বলেন, আমার ৮০ হাজার টাকার গ্রোসারিজ আইটেম এবং একটা বাইকের অর্ডার ছিল। একটু আগে দেখলাম ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল গ্রেফতার হয়েছেন। তাই এখানে দেখতে এলাম, জানি না এখন কী হবে!
হাসান নামে আরও একজন বলেন, আমি ধার করে টাকা নিয়ে একটা বাইকের অর্ডার করেছিলাম। কিন্তু তারপর এখনো বাইক পাইনি। এখন পর্যন্ত ঝুলে রয়েছে। এখন আমার বেতনের টাকা দিয়ে ধার পরিশোধ করতে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা সকলেই খুব চিন্তিত। আজকে আবার রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানি না এরপর কি হবে। আমরা আমাদের পণ্য অথবা টাকাগুলো ফেরত পাব কিনা।
কে এই ইভ্যালির রাসেল: ইভ্যালি বাংলাদেশ ভিত্তিক একটি ই-কমার্স প্লাটফর্ম। লোভনীয় ডিসকাউন্ট কিংবা ক্যাশব্যাকের অফার দেওয়ার ক্ষেত্রে ইভ্যালির নাম সবার আগে আসবে। অল্প সময়ে অনলাইন ক্রেতাদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করলেও প্রতিষ্ঠানটি এখন গ্রাহক ভোগান্তি ও সমালোচনার শীর্ষে অবস্থান করছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মোহাম্মদ রাসেল এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। মোহাম্মদ রাসেল রাজধানীর রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করেন। এরপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ২০১১ সালে ঢাকা ব্যাংকে চাকরি নেন তিনি। চাকরির পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ করেন রাসেল। ৬ বছর পর ঢাকা ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে অনলাইনে পণ্য বেচাকেনার ব্যবসা শুরু করেন তিনি।
২০১৬ সালে প্রথমে অনলাইনে ডায়াপার বিক্রি দিয়ে যাত্রা শুরু করেন রাসেল। ২০১৭ সালে এই ব্যবসা করতে গিয়ে বড় একটি অনলাইন প্লাটফর্মের কথা চিন্তা করেন তিনি। সেই চিন্তা থেকেই প্রতিষ্ঠা করেন দেশীয় ই-কমার্স কোম্পানি ইভ্যালি। প্রায় ১৭ লাখ নিয়মিত ক্রেতা, ২০ হাজারের বেশি বিক্রেতা নিয়ে বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতে স্বল্প সময়ে প্রথম সারিতে উঠে আসে ইভ্যালি। এশিয়ার মধ্যে স্বল্প সময়ে দ্রুতবর্ধনশীল ই-কমার্স স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ও বিজনেস লিডার হিসেবে অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন মোহাম্মদ রাসেল।
মোটরসাইকেল, গাড়ি, মোবাইল, ঘরের সরঞ্জাম এবং আসবাবপত্রের মতো উচ্চমূল্যের পণ্যে লোভনীয় ছাড় দেয় ইভ্যালি। প্রতিষ্ঠার শুরুতে সাইক্লোন, আর্থকোয়েক ইত্যাদি নামে তারা ক্রেতাদের ১০০ শতাংশ ও ১৫০ শতাংশ ক্যাশব্যাকের মতো অত্যন্ত লোভনীয় অফার দেয়। ইভ্যালির ব্যবসার এ কৌশলের ফলে মানুষের মধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি অনেক সমালোচনারও সৃষ্টি হয়। বিশাল অফার, ছাড়ের ছড়াছড়ি আর ক্যাশব্যাকের আকর্ষণ দিয়ে ক্রেতা বাড়ানোর কৌশল নিয়ে সফল হলেও প্রতিষ্ঠানটি এখন গ্রাহক ভোগান্তির শীর্ষে।
ইভ্যালির ‘সম্পদের চেয়ে ছয় গুণ বেশি দেনা’ বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে তথ্য উঠে আসে। প্রতিবেদনে উঠে আসে ইভ্যালির মোট দায় ৪০৭ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম নিয়েছে ২১৪ কোটি টাকা, আর মার্চেন্টদের কাছ থেকে বাকিতে পণ্য নিয়েছে ১৯০ কোটি টাকার। স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিষ্ঠানটির কাছে কমপক্ষে ৪০৪ কোটি টাকার চলতি সম্পদ থাকার কথা। কিন্তু সম্পদ আছে মাত্র ৬৫ কোটি টাকার। এছাড়া গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছ থেকে গত ১৪ মার্চ পর্যন্ত ইভ্যালির নেওয়া অগ্রিম ৩৩৯ কোটি টাকার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। এ টাকা আত্মসাৎ বা অবৈধভাবে অন্যত্র সরিয়ে ফেলার আশঙ্কা রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
গত ১৯ আগস্ট বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে সম্পদ ও দায়ের হিসাব দেয় ইভ্যালি। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তার নিজের ব্র্যান্ড মূল্য ৪২৩ কোটি টাকা। গত ১৫ জুলাই পর্যন্ত তাদের মোট দায় ৫৪৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে এক কোটি টাকা শেয়ারহোল্ডার হিসেবে কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল কোম্পানিকে দিয়েছেন। বাকি ৫৪৩ কোটি টাকা হচ্ছে কোম্পানিটির চলতি দায়।
ইভ্যালি জানায়, দায়ের বিপরীতে তাদের চলতি সম্পদ রয়েছে ৯০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। আর সম্পত্তি, স্থাপনা ও যন্ত্রপাতি মিলিয়ে রয়েছে ১৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে স্থাবর সম্পত্তি দাঁড়ায় ১০৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। মোট দায় ৫৪৪ কোটি টাকা থেকে স্থাবর সম্পত্তি ১০৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বাদ দিলে বাকি থাকে ৪৩৯ কোটি টাকা, যাকে ইভ্যালি বলছে তার অস্থাবর সম্পত্তি। সম্পদবিবরণী মেলাতে ইভ্যালি দেখিয়েছে অস্থাবর সম্পত্তি ৪৩৮ কোটি টাকার মধ্যে ৪২৩ কোটি টাকা হচ্ছে তার ব্র্যান্ড মূল্য, আর ১৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা হচ্ছে অদৃশ্য সম্পত্তি। সব মিলিয়ে ইভ্যালির মোট দেনার পরিমাণ ৫৪২ কোটি ৯৯ লাখ ৫৮ হাজার ৪৮২ টাকা। এই দেনার বিপরীতে তাদের দৃশ্যমান ও অদৃশ্য সম্পদ রয়েছে ৫৪৩ কোটি ৯৯ লাখ ৫৮ হাজার ৪৮২ টাকা।
তবে তাদের এই হিসাব বিবরণী খুব সম্ভবত গ্রহণ করেনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে ইভ্যালির ভীবষ্যৎ নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় ইভ্যালির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সভায় সুপারিশ করা হয়, যেহেতু এখানে আইনের লঙ্ঘন হয়েছে সেহেতু বিষয়টিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পদক্ষেপ নিতে বলা হবে।
আত্মগোপনে ছিলেন রাসেল: গুলশান থানায় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়েরের পর ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং সিইও মো. রাসেল গাঢাকা দিয়েছেন। গ্রেফতার আতঙ্কে গতকাল বৃহস্পতিবার অফিসেও যাননি রাসেল। জানা যায়, গত বুধবার রাতে মামলার গুঞ্জনের পর থেকেই আত্মগোপনে চলে যান ইভ্যালির এমডি-চেয়ারম্যান। পরে গতকাল দুপুরে মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার র্যাব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন