শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দুদকের আপিল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

নির্দিষ্ট বিধি বা আইন প্রণয়ন না করা পর্যন্ত দুর্নীতি মামলার আসামি বা সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রদান সংক্রান্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের আপিল নিষ্পত্তি করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। সঙ্গে দেয়া হয়েছে বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ। তবে পর্যবেক্ষণে কী কী থাকছে সেটি পূর্ণাঙ্গ রায়ে উল্লেখ থাকবে।

গতকাল সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত আপিল বিভাগীয় বেহ্চ ইতিপূর্বে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ সংশোধন করে আপিলের নিষ্পত্তি করেন। এর আগে হাইকোর্ট এই মর্মে আদেশ দিয়েছিলেন যে, সুনির্দিষ্ট বিধি বা আইন প্রণয়ন না করা পর্যন্ত দুর্নীতি মামলার আসামি বা সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তির বিদেশ যাবার ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে দুদক নয়Ñ সিদ্ধান্ত নেবেন বিশেষ জজ আদালত। হাইকোর্টের দেয়া এমন আদেশের বিরুদ্ধে পৃথক ৫টি আপিল করে দুদক। আপিলের প্রেক্ষিতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয়।

গতকাল এ বিষয়ে আদেশের তারিখ ধার্য ছিল। দুদকের পক্ষে আপিল শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। ভুক্তভোগীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী, মুরাদ রেজা, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, আরশাদুর রউফ এবং ব্যারিস্টার রূহুল কুদ্দুস কাজল। দেশ ত্যাগে দুদকের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে পৃথক পাঁচটি রিটে হাইকোর্ট তিনটি রায় ও দু’টি আদেশ দিয়েছিলেন। ওইসব আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে দুদক। রিটগুলো হচ্ছে নরসিংদীর আতাউর রহমানের মামলা। বিদেশ যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নরসিংদীর আতাউর রহমান ওরফে সুইডেন আতাউর রহমানের করা এক রিট আবেদনে জারি করা রুলের ওপর ১৬ মার্চ রায় দেন হাইকোর্ট।
দুদকের দেয়া নিষেধাজ্ঞার চিঠি অবৈধ ঘোষণা করে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ অভিমতে বলেন, সুনির্দিষ্ট বিধি বা আইন প্রণয়ন না করা পর্যন্ত দুর্নীতি মামলার আসামি বা সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তির দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বিষয়ে দুদক নয়-সিদ্ধান্ত নেবেন বিশেষ জজ আদালত। হাইকোর্ট বলেছেন, বিদেশ যাবার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বিষয়ে দুদকের সুনির্দিষ্ট আইন বা বিধি নেই। এ কারণে এ বিষয়ে দ্রুত সুনির্দিষ্ট আইন বা বিধিমালা করা প্রয়োজন। তাই আশা করছি, এ বিষয়ে দুদক বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় আইন বা বিধি করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন