মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

দক্ষিণাঞ্চলে ৫ শতাধিক অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মীর মানবেতর জীবন যাপন

পেনশনের অর্থ বন্ধ ৪ মাস

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৫:২৯ পিএম

দক্ষিণাঞ্চলে বিটিসিএল ও সাবেক টিএন্ডটি বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত ৫ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী গত ৪ মাস ধরে অবসর ভাতা না পেয়ে অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ইতোমধ্যে তাদের জীবনে একটি নিরানন্দ ঈদ উল আজহা অতিবাহিত হয়েছে। অক্টোবর মাসেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের গুরুত্বপূর্ণ উৎসব দূর্গপুজাও আসন্ন। কিন্তু সরকারী অবসরপ্রাপ্ত এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উৎসবের আনন্দ দুরের কথা এখন সুস্থ্যভাবে জীবনধারনই দায় হয়ে পড়েছে।
অন্যসব সরকারী প্রতিষ্ঠানের মত সাবেক টিএন্ডটি বোর্ড ও বর্তমান বিটিসিএল থেকে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রাপ্য অবসর ভাতা অর্থ মন্ত্রনালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে পেয়ে আসছিলেন। মন্ত্রনালয়ে আওতাধীন জেলা এবং বিভাগীয় অর্থ ও হিসাব বিভাগের অফিস থেকে এসব ভাতা মাসের শেষে ব্যাংক হিসেবের বিপরিতে চেকের মাধ্যমে পরিষোধ হয়ে আসছিল। এসব চেক গ্রহন করতে পেনশন ভোগীদের মাসের শেষে জেলা-উপজেলা হিসাব অফিস সমুহে ধর্ণা দিয়ে নানা হয়রানীরও শিকার হতে হচ্ছিল।
এ পরিস্থিতি উত্তরনে সরকার পেনশন গ্রহীতার ব্যাংক হিসেবে সরাসরি ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফর-ইএফটি’র মাধ্যমে অবসর ভাতা প্রদানে সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। সে আলোকে সারা দেশের মত দক্ষিণাঞ্চলের এসব পেনশন গ্রহিতাগনও তাদের ব্যংকের হিসেব নম্বর সহ সমুদয় কাগজপত্র বরিশাল বিভাগীয় হিসাব দপ্তর সহ বিভিন্ন জেলা উপজেলা দপ্তরে জমা দেয়ার পরে গত জুন মাস থেকে আর কোন অবসর ভাতা পাচ্ছেন না।

বিষয়টি নিয়ে বরিশাল বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক সহ বিভিন্ন জেলার হিসাব কর্মকর্তদের সাথে অলাপ করা হলে তারা জানান, মন্ত্রনালয়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে আমরা বিটিসিএল’এর সব পেনসন ভোগীদের অবসর ভাতা ইএফটি’র মাধ্যমে সরাসরি তাদের ব্যাংক হিসেবে প্রেরনের লক্ষে সব তথ্য উপাত্ত সদর দপ্তরে প্রেরন করেছি অনেক আগে। দেশের বেশীরভাগ এলাকায়ই বিষয়টি সুরাহা হলেও বরিশাল বিভাগে তা এখনো পৌছেনি। তবে খুব শিঘ্রই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বরিশাল বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক।

এদিকে বিটিসিএল’এর একাধীক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী দীর্ঘ ৪ মাস পেনশনের টাকা না পেয়ে তাদের মনবেতর জীবন যাপনের কথা জানিয়েছেন। অর্থের অভাবে অনেকেরই চিকৎসা পর্যন্ত বন্ধের পথে। অনেক কণ্যাদায় গ্রস্থ পিতা অর্থের অভাবে মেয়ের বিয়ে দিতে পর্যন্ত পারছেন না। অনেকে বাাসা ভাড়া দিতে না পারায় বাড়ির মালিকের গঞ্জনা সহ্য করতে হচ্ছে। অনেক পরিবারেরই নিয়মিত ভরনে পোষন পর্যন্ত বন্ধের পথে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন