শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

খানাখন্দে পথচারীদের ভোগান্তি

জামালপুর-সরিষাবাড়ী সড়কের বেহাল দশা

কামাল আতাতুর্ক মিসেল | প্রকাশের সময় : ৪ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০৯ এএম

সড়কের পিচ ওঠে গিয়ে জামালপুর সদর থেকে সরিষাবাড়ী যাওয়ার সড়কটির বিভিন্ন অংশ চলাচল অনুপযোগী হওয়ায় জনজীবনে বেড়েছে দুর্ভোগ। দীর্ঘদিন ধরেই পুরো সড়কজুড়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কে জমে হাটু পানি। প্রতিদিনই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে উল্টে যাচ্ছে রিকশা, ভ্যান, অটোরিকশাসহ আটকে পড়ছে প্রাইভেটকার ও মালবাহী কাভার্ডভ্যান। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এই সড়কে চলাচলকারী অসংখ্য মানুষ।

স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, সদর উপজেলা থেকে সরিষাবাড়ীর পপুলার মোড় পর্যন্ত যাওয়ার মূল সড়কটির দূরত্ব ১৬ কিলোমিটার। আর অন্য পথ দিয়ে গেলে ঘুরতে হয় আরও ১০ কিলোমিটার বেশি পথ। মূল সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন ট্রাক, অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ ছোট বড় অনেক যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির কোনো সংস্কার না হওয়ায় পিচ উঠে অসংখ্য স্থানে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। আর বৃষ্টির পানি জমে একেকটি গর্ত যেন পরিণত হয়েছে ছোট ডোবায়। বেহাল দশার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। কোথাও কোথাও সড়কের মাঝখানে বিপদজনক স্থানে বাঁশ দিয়ে সতর্কীকরণ করা হয়েছে। এছাড়া ব্যস্ততম সড়কটির ভাঙা জায়গা গিয়ে একপাশ থেকে গাড়ি এলে অন্য পাশের গাড়িকে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এসময় সৃষ্ট যানজট খানাখন্দে জমে থাকা জলজটের কারণে কর্মজীবী লোকজন সময়মতো অফিসে পৌঁছতে পারেন না।
স্থানীয় বাসিন্দা রফিক আহমেদ জানান, এই সড়কটি সরকার কয়েক বছর আগে করলেও ড্রেনেজ সিস্টেম না থাকায় সড়কে পানি জমে রাস্তার এই বেহাল দশা। আমাদের চলাচলে খুব অসুবিধা হচ্ছে। এক বস্তা চাউল যে বাড়িতে নেব- সে উপায়ও নাই। ৪/৫ কেজি করে চাউল কিনে নিয়ে বাড়ি যেতে হয়। এসব ময়লা পানি মাড়িয়ে প্রতিনিয়ত পেটের তাগিদে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। আমরা সরকারের কাছে এই সড়কটি দ্রুত সংস্কারের জন্য দাবি জানাই।
এ বিষয়ে কেন্দুয়ার ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মাহবুবুর রহমান মনজু জানান, দীর্ঘদিন ধরে জামালপুর সদর থেকে সরিষাবাড়ী সড়কের বেহাল দশার কারণে প্রতিনিয়ত লোকজন আমাদের বকাবকি করে। ইউনিয়ন পরিষদের সামান্য অর্থায়নে এতো বড় সড়ক কিছুই করা সম্ভব না। উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে খুব দ্রুতই সংস্কারের কাজ শুরু হবে।
সওজ নির্বাহী প্রকৌশলী খায়রুল বাশার মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন জানান, এরই মধ্যে সড়কটি সংস্কারের সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বর্ষার কারণে কাজ বন্ধ থাকলেও খুব দ্রুতই কাজ শুরু হবে। আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে সড়কের সংস্কার কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন