বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার দুই বছর হলেও এখনো বিচারকাজ শেষ হয়নি। তার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে সব খুনির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন নেটিজেনরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই লিখেছেন, লক্ষ কোটি বাংলাদশীদের হৃদয়ে ভারত বিরোধী আন্দোলনের অগ্রসেনানী হয়ে থাকবে শহীদ আবরার ফাহাদ।
বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া গ্রামের বরকত উল্লাহ ও রোকেয়া দম্পত্তির বড় সন্তান। দুই বছর আগে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে তার বন্ধু ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হত্যাকাণ্ডের পর দুটি বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো বিচারকাজ শেষ হয়নি।
নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে নিয়ে ফেসবুকে আহাসানুল আলম সজিব লিখেছেন, ‘‘আবরার ফাহাদের মৃত্যু হয়নি, কারণ শহীদের কখনো মৃত্যু নাই। আবরাররা বেঁচে থাকবে যুগ যুগ ধরে এই মাটির প্রতিটি ধূলিকণায়, প্রত্যেক মানুষের হৃদয়ে। আবরার ফাহাদ কে ভুলে যাওয়া, নিজের অস্তিত্বের কথা ভুলে যাওয়া। আবরার বেঁচে থাকবে, তারুণ্যের শক্তি আর সাহসী তরুণদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে।’’
আবরার হত্যার বিচারের দাবিতে মোঃ মাকসুদ লিখেছেন, ‘‘দেশের সর্বোচ্চ মেধাবীদের বিচরনস্থল বুয়েটের মত জায়গাই, ছাত্রনামধারী কিছু কুলাঙ্গারদের দ্বারা তার নির্মমভাবে হত্যাকান্ডই প্রমাণ করে সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে অধ্যায়ন করলে কিংবা মেধাবী হলেই তাদের ভাল মানুষ বলা যায় না!!প্রকৃত মানুষ হওয়ার জন্য মনুষ্যত্ব এবং পারিবারিক ভাল আদব - কায়দা থাকা অবশ্যই জরুরী।সবশেষ, সঠিক প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও যদি তার হত্যাকারীদের সঠিক বিচার না হয় তাহলে দেশের আইনের শাসনব্যবস্থা অবশ্যই প্রশ্নবিদ্ধ হবে!’’
মনির আহমেদ লিখেছেন, ‘‘বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে অবিস্মরণীয় হয়ে আছেন হাজী শরিয়তুল্লাহ, পীর মোহসিনউদ্দিন দুদু মিয়া তেমনি কেউ স্বরণ করুক আর না করুক ভারত বিরোধী আন্দোলনের অগ্রসেনানী হয়ে থাকবে শহীদ আবরার ফাহাদ লক্ষ কোটি বাংলাদশীদের হৃদয়ে।’’
আনওয়ার পারভেজ সুমন লিখেছেন, ‘‘প্রথমেই আল্লাহর দরবারে আবরারের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি! মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি দুই বছরেও বাস্তবায়িত না হওয়া দূ:খজনক!আবরার বুয়েটের মেধাবী ছাত্র, যারা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে তারাও মেধাবী, সেই বুয়েটেরই ছাত্র!এই ঘটনার পরও যেসব অভিভাবক তাদের সন্তানকে গতানুগতিক চলমান লেজুড়ভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি করার অনুমতি দেয় বা মেনে নেয় তাদেরকে আমি কোনভাবেই আদর্শ অভিভাবক মনে করি না এবং যারা করে তাদেরকেও কোন ভাবেই আদর্শ, মেধাবী, সচেতন, দেশপ্রমিক ও নীতিবান ছাত্র মনে করি না, তাদের দ্বারা দেশ ও জনগনের কোন কল্যানই হবে না! কারন একটাই, এরা মানুষ নয়, কুশিক্ষিত অমানুষ! আবরার তুমি মরেও রয়েছো সবার হৃদয়ে …আবরার যেন অতিদ্রুত ন্যায়বিচার পায় .. এটাই প্রার্থনা!’’
মোঃ অলি আহমাদ লিখেছেন, ‘‘আমার ছেলের নাম রেখেছি আবরার গালিব।। আবরারকে যেন কখন ভুলে না যাই সেজন্য।আমি চাই,, আমার ছেলেও যেন,, দেশকে ভারতমুক্ত করতে গিয়ে শহিদ হয়।অন্তত আল্লাহর কাছে বলতে পারব আমি শহিদের বাবা।’’
আবু বকর আদনান লিখেছেন, ‘‘প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবরার ফাহাদ নামে নামকরণ করে আবরার হল রাখা হোক! হ্যাঁ যাতে করে জাতি কখনো আবরার ফাহাদকে যেন না ভুলে যায়। এটাই সময়ের দাবি।’’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন