নিত্যপণ্যের বাড়তি খরচ সামাল দিতে দীর্ঘলাইন টিসিবির (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) ট্রাকের সামনে। চাহিদা বেশি থাকায় চলতি মাসে বাড়ানো হয়েছে খোলা ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রির পরিসর। আগামী সপ্তাহেই বাড়বে পেঁয়াজের সরবরাহ। বেশি সংখ্যক ভোক্তার হাতে পণ্য দিতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। পণ্য সরবরাহ বাড়ানোর দাবি নিত্যপণ্যের দামে নাভিশ্বাস হয়ে উঠা ভোক্তাদের।
বাজারে নিত্যপণ্য সামগ্রীর বাড়তি খরচ সামাল দিতে মানুষ কমমূল্যে পণ্যসামগ্রী ক্রয় করতে ভিড় করছেন টিসিবির ট্রাকের সামনে। সকাল থেকেই টিসিবির ট্রাকের সামনে ভোক্তাদের দীর্ঘলাইন। দীর্ঘ সময়ে লাইনে অপেক্ষা করেও মিলছে না নিত্যপণ্যের সামগ্রী। লাইনে দাড়াঁনো একজন ভোক্তা বলেন, আমরা গরিব মানুষ। দিন এনে দিন খাই। পেঁয়াজ ৩০ টাকা কেজি পাচ্ছি। চিনি ও ডাল কমমূল্যে পাচ্ছি। এগুলো খেয়ে আমরা কোনো মতে বেঁচে আছি।
তবে পণ্য পেতে দীর্ঘ অপেক্ষার মধ্যেই প্রায়ই ওঠে নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ। এ বিষয়ে ভোক্তারা অভিযোগ করে বলেন, প্রায়ই একজন এসে ৬ জনকে ঢুকিয়ে দেয়। বাইরে থেকে অনেকে এসে টাকা দিয়ে লাইনে না দাঁড়িয়েই পণ্যসামগ্রী নিয়ে যায়।
সব নিয়মনীতি মানলেও দিনশেষে অনেক ভোক্তাকে খালি হাতে ফিরতে হয় বলে জানান ডিলাররা। তারা বলেন, যদি পণ্যসামগ্রীর পরিমাণ একটু বাড়িয়ে দেয়া হয় তাহলে আমরা লাইনে দাড়ানো প্রতেকেই পণ্যসামগ্রী দিতে পারবো।
টিসিবির হিসাবে, খুচরা বাজারে এক লিটার সয়াবিনের দাম ১৪৫- ১৫০ টাকা, সেখানে এই ট্রাকে মিলে ১০০ টাকায়। এখানে পেঁয়াজ মিলে ৩০ টাকায়, যার বাজারমূল্য ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এককেজি চিনি ও ডালে সাশ্রয় হয় ৩০ থেকে ৪০ টাকা। তাই তো সীমিত মূল্যে বেশি ভোক্তার হাতে পণ্য পৌঁছে দিতে তৎপর সংস্থাটি। টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেছেন, ৪০০ থেকে ৪৫০টি ট্রাকে আমাদের পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। ঢাকা শহরে ৯৫ থেকে ১০০টা ট্রাক প্রতিদিন যায়। প্রতিটি ট্রাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ দেয়া হয়। ট্রাক প্রতি ৫০০ কেজি পেঁয়াজ দেয়া হয়। সামনের সপ্তাহে বাইরের দেশ থেকে আরও পেঁয়াজ আসবে, তখন বিক্রয়ের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে। উল্লেখ্য, আগামী ২৮ তারিখ পর্যন্ত চলবে টিসিবির চলতি মাসের খোলা ট্রাকে বিক্রি কার্যক্রম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন