ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেছেন, কুমিল্লার পূজামন্ডপে মূর্তির পায়ের নিচে পবিত্র কোরআন রেখে অবমাননা করার চরম ধৃষ্টতাকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। পূজামন্ডপে দেবতার পায়ের নিচে পবিত্র কোরআন রেখে অবমাননার কারণে মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। তিনি বলেন, উগ্র সম্প্রদায়ের কেউ দেশে ধর্মীয় দাঙ্গা হাঙ্গামা বাধানোর চক্রান্তে এমন গর্হিত কাজ করতে পারে। কারা কোরআন অবমাননা করেছে তা খুঁজে বের করার দায়িত্ব সরকারের। বিরানব্বই ভাগ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যে নিরাপত্তা ও অতিমাত্রায় নাগরিক সুবিধা ভোগ করছে বিশ্বে এমন দৃষ্টান্ত নজিরবিহীন। তারপরও কিছু স্বার্থান্বেষী চিহ্নিত মহল বারবার ধর্মীয় মূল্যবোধের উপর আঘাত করে সামাজিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার পাঁয়তারা করছে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে।
আজ শনিবার বিকেলে কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননাকারীদের বিচার এবং দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সংগঠনের দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ূম, মাওলানা নেছার উদ্দিন, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, ছাত্র নেতা কেএম শরীয়তুল্লাহ ও ডা. শহিদুল ইসলাম।
প্রিন্সিপাল মাদানী বলেন, কোরআনকে কেউ ধ্বংস করতে পারবে না। কোরআনকে আল্লাহপাকই হেফাজত করবেন। তিনি বলেন, পবিত্র কোআনের বিরুদ্ধে যারা কথা বলছেন তাদের বিচার করতে হবে। কোরআন অবমাননাকারীদের অবশ্যই বিচার করতে হবে। অন্যথায় সারাদেশে কঠোর আন্দোলন গড়ে উঠলে সরকারের কিছু করার থাকবে না। তিনি নিত্যপয়োজনীয় দ্রব্যমূলের লাগামহীন উর্ধ্বগতির প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, কোন প্রকার কারণ ছাড়াই বার বার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনজীবন চরম দূর্বিষহ হয়ে উঠছে। সরকার সিন্ডিকেটের কাছে মাথানত করেছে। তিনি অবিলম্বে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ আনতে না পারলে ক্ষমতা ছেড়ে দিন। তিনি বলেন, কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননাকারীদের তদন্ত করে বিচার করা উচিৎ ছিল। কিন্ত পুলিশ গুলি করে ৬/৭ জনকে শহীদ করেছে। তিনি বলেন, ৯০% মুসলমানের দেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাও থাকবে। দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব সকলের।
সভাপতির বক্তব্যে শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, কোরআন অবমাননা নিয়ে তথ্য মন্ত্রীর বক্তব্য নেই। উল্টো কোরআন ও ইসলামের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে সরকারকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম একটি মীমাংসিত বিষয় এ নিয়ে নতুন করে চক্রান্তের সুযোগ নেই। যে বা যারা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে চক্রান্ত করবে, সেই চক্রান্ত মুসলমানরা রুখে দেবে। সমাবেশ শেষে একটি বিশাল মিছিল বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইট, পল্টন মোড় ও বিজয়নগর মোড় হয়ে পল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সমাপ্ত হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন