মঙ্গলবার , ৬ জুন ২০২৩, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯, ১৬ যিলক্বদ ১৪৪৪ হিজরী

মহানগর

মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদের নামের তালিকা প্রকাশ করুন

মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই)

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:৫০ পিএম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন; দেশের স্বাধীনতা অর্জনের পঞ্চাশ বছর পার হলেও আজ অবধি এদেশের মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার, ভোটাধিকার ও বাক স্বাধীনতা বঞ্চিত।


মুফতি ফয়জুল করীম বলেন; লাল সবুজের পতাকার ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় এদেশের স্বাধীনতার জন্য বীজ বপন হয়েছিল ব্রিটিশদের অত্যাচার থেকে স্বাধীনতা লাভ করার মধ্য দিয়ে। ব্রিটিশদের হাতে ৮০ হাজার উলামায়ে কেরামকে শহীদ হতে হয়েছিল। পরবর্তীতে ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগ হয়েছিল ধর্মের উপর ভিত্তি করে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে এক প্রান্তে পূর্ব পাকিস্তান অন্য প্রান্তে পশ্চিম পাকিস্তান মিলে পাকিস্তান আর মাঝখানে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে ভারত গঠিত হয়েছিল। পশ্চিম পাকিস্তানিরা যখন পূর্ব পাকিস্তান তথা আমাদের উপর জুলুম-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো শুরু করে দিয়ে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান সহ সর্বপ্রকার অধিকার হরণ করে। ঠিক তখনই আমরা গর্জে উঠি পশ্চিম পাকিস্তানের জালিম শাসকদের বিরুদ্ধে। অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে যুদ্ধ করি। জালিমদের থেকে বিজয় অর্জন করে লাল সবুজের পতাকা অর্জন করি।

তিনি আরও বলেন; ৩০ শহীদের ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা পাওয়ার পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে গেলেও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নামীয় সরকার আজ পর্যন্ত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের একটি স্বচ্ছ তালিকা তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের বিজয়কে অস্বীকার করে ভারতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ৭১ এর বিজয়কে পাকিস্তানের সাথে তাদের সৈন্য বাহিনীর বিজয় বলে বক্তব্য দেয়ার দু:সাহস দেখিয়েছে। ভারতপ্রেমী নৈশ ভোটের সরকার আজ পর্যন্ত জোরালো প্রতিবাদ জানাতেও সক্ষম হয়নি। বরং সরকারের মন্ত্রী এমপিদের ভারতের প্রতি মায়াকান্না দেখে ভাবতেও কষ্ট হয়ে যায় মন্ত্রী-এমপিরা বাংলাদেশের নাকি ভারতের?

বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ ইং তারিখে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ কর্তৃক আয়োজিত পতাকা র‌্যালী পূর্ব সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আলহাজ্ব আমীনুল ইসলাম, উত্তর সেক্রেটারী মাওলানা আরিফুল ইসলাম, দক্ষিণের সেক্রেটারী আলহাজ্ব আব্দুল আউয়াল প্রমুখ।

মুফতী ফয়জুল করীম আরও বলেন; বিজয়ের এই মাসে দেশের প্রশাসনের উচ্চপদস্থ দায়িত্বশীলদের কালো তালিকাভুক্তি দেশের মানুষের জন্য বড় লজ্জার ও বিষ্ময়ের হয়ে দাড়িয়েছে। জনগণের মৌলিক অধিকার, ভোটের অধিকার, বাক-স্বাধীনতা খর্ব করে জোর করে ক্ষমতা দখল করে রেখে সরকারের ছত্রছায়ায় কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠি হাজার হাজার কোটি টাকা অন্য দেশে পাঁচার করছে। অর্থ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা খাত সহ প্রায় সকল খাত আজ দূর্নীতিতে নিমজ্জিত ও ভঙ্গুর। সর্বত্র চুরি, ডাকাতি, দূর্নীতির কারনে দেশের বিজয় দিবস আজ কলঙ্কিত। দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার, ভোটাধিকার ও বাক স্বাধীনতা ফিরিয়ে না দেয়া পর্যন্ত এদেশের জনগণকে আবারও লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সেই লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিবে ইনশাআল্লাহ।

পতাকা র‌্যালিটি বাইতুল মোকাররম উত্তর গেইটে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় পদক্ষিণ করে পুরানা পল্টন চত্ত্বরে এসে সকল শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে সংক্ষিপ্ত দোয়া ও মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন