ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার অভাবে মানুষের মনুষ্যত্ববোধ হারিয়ে যাচ্ছে। অনেক মানুষ অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা না থাকায় তরুণ প্রজন্ম বেপরোয়া হয়ে উঠছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বিদায় বেলায় র্যাগ ডে’র নামে অশ্লীলতা প্রদর্শন করছে। এহেন অনৈতিক কার্যকলাপ থেকে আগামী প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুস সবুরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি এবিএম জাকারিয়া, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক নাসির উদ্দীন খান, কেন্দ্রীয় ইবতেদায়ী মাদরাসা বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মাহবুবুর রহমানসহ অন্যান্য দায়িত্বশীল ও প্রতিনিধিবৃন্দ।
“শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ, পাবলিক পরীক্ষায় ধর্মীয় শিক্ষা বহাল এবং স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা এমপিওভূক্তির”দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতী ফয়জুল করীম আরও বলেন, শিক্ষাখাতে বৈষম্য চরম আকার ধারণ করেছে। একই সিলেবাসে শিক্ষার্থী পড়িয়ে বেসরকারি শিক্ষকরা বেতন-ভাতাসহ নানা বৈষম্যের শিকার। অন্যদিকে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষকদেরকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে। মাদরাসার স্থায়ী রেজিস্ট্রেশন এখনও প্রদান করা হয়নি। অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়নি। অতএব, শিক্ষাখাতে দুর্নীতি ও বৈষম্যরোধে শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের মাধ্যমেই সরকারকে এর আশু সমাধান করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা শিক্ষকদের অধিকার আদায়ের যৌক্তিক দাবি নিয়েই মাঠে নেমেছি। প্রধানমন্ত্রীসহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করে বলব, আপনারা শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিন। একের পর এক গাড়ী চাপায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনা সচেতন জনগণকে ভাবিয়ে তুলছে। অনতিবিলম্বে এসব হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার এবং শিক্ষার্থীদের অন্যান্য দাবি মেনে নিয়ে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন