হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত উত্তরের জেলা দিনাজপুর ও আশপাশ এলাকায় অগ্রহায়ণের শুরুতেই শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। এ সময় সাধারণত এমন শীত অনুভূত হয় না। পৌঁষে শীতের কাপড়ের কথা চিন্তা করে থাকে এ অঞ্চলের মানুষ। কিন্তু অগ্রহায়ণের শুরুতে রাত গভীর হতেই কনকনে শীত কাঁথা কম্বল নিতে বাধ্য করছে।
অপরদিকে গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ঘন কুয়াশার দাপটে মধ্যরাত থেকেই সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়ে পড়ছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার পাশাপাশি ঝিরঝির শিশির কণায় মাটি ভিজে যাচ্ছে। ঘন কুয়াশা ও ঝিরঝিরে শিশিরে আলুসহ বিভিন্ন সবজির বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষকরা তাই ভোর হলেই মাঠে ছুটছেন বীজতলার মাটি নাড়া চাড়া করে শুষ্ক করার জন্য।
সর্বনিম্ন ১৫ থেকে ১৬ এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে কুয়াশাছন্ন মেঘ কেটে গেলেই শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাবে। এবার একমাস আগে মধ্য কার্তিক থেকেই হালকা শীত অনুভূত হতে শুরু করে। মধ্যরাত থেকে ভোরের সূর্যের আলো ফোটার আগ পর্যন্ত সবকিছুই ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে থাকছে। ঘন কুয়াশার কারনে কর্মজীবি মানুষেরা পড়ছে চরম বিপাকে।
ঘন কুয়াশায় সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চালকরা যানবাহন ধীর গতিতে চালাতে বাধ্য হচ্ছেন। মোটরসাইকেল, সাইকেল ও অটো বাইক চালানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। বিরলের কৃষকদের কথা, গত কয়েক বছরে অগ্রহায়ণের শুরুতেই এত ঘন কুয়াশার পাশাপাশি তীব্র শীত অনুভূত হয়নি। কুয়াশায় আলুসহ বিভিন্ন বীজতলার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত অক্টোবরে আগাম জাতের আলু বীজ লাগানোর পরপরই যে ব্যাপক বৃষ্টিতে সব বীজ পঁচে গেছে। আবার সেগুলোকে নতুনভাবে লাগানো হয়েছে। বর্তমানে ঘন কুয়াশা আর শিশির বীজতলার ক্ষতি করবে। তবে এর মধ্যে কুয়াশা কেটে গেলে ভয় থাকবে না।
এদিকে আগাম শীতের কারনে লেপ-তোষকের দোকানেও ভিড় বেড়েছে। গত কয়েকদিন আগেও কারিগররা বসে দিন কাটিয়েছে। কয়েকদিনের ব্যাবধানে হঠাৎ শীত বেড়ে যাওয়ায় কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন