যশোরের শার্শায় পরকীয় প্রেমিক মনিরুল ইসলাম মনির নামে এক যুবককে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় প্রেমিকা বিথি খাতুন (৩৩) নামে এক নারীকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। মঙ্গলবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শার্শা থানা উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন। অভিযুক্ত বিথি খাতুন শার্শা উপজেলার কাজীরবেড় গ্রামের সিরাজুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া ও ঝিনাইদহ সদরের খানকুলা গ্রামের সাইদুর রহমানের স্ত্রী।
জানা যায়, মনিরামপুর উপজেলার মনোহরপুর (রাজগঞ্জ) গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মনিরুল ইসলাম মনি রাজগঞ্জ বাজারে লোকাল বাসের কলারম্যান (বাস কাউন্টার কর্মী) হিসেবে কাজ করতেন। অপরদিকে অভিযুক্ত বিথি খাতুনের স্বামী সাইদুর রহমান ওয়েব ফাউন্ডেশন এনজিও’র রাজগঞ্জ শাখায় চাকরি করতেন। চাকরি সুবাদে রাজগঞ্জে স্বামীর সঙ্গে থাকতেন বিথি খাতুন। সেই সুবাদে বিথি খাতুনের সাথে মনিরুল ইসলামের পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং তারা মোবাইল ফোনে কথাবার্তা বলতেন। পরবর্তীতে স্বামীর বদলিজনিত কারণে বিথি খাতুন তার সাথে শার্শায় চলে যান। তারা কাজীরবেড়ে ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
চলতি বছরের ২ সেপ্টেম্বর বিকেলে মনিরুল ইসলাম জরুরি কাজ আছে বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। তার পরিবারের লোকজনকে বলে যান রাতে ফিরবেন না। পরদিন ৩ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের কাছ থেকে মনিরুল ইসলামের পিতা আবুল হোসেন খবর পান, তার ছেলের লাশ শার্শা থানা পুলিশের হেফাজতে আছে। এ খবর পেয়ে আবুল হোসেন শার্শা থানায় গিয়ে তার ছেলের লাশ শনাক্ত করেন। পরে আবুল হোসেন খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, স্বামী বাসায় না থাকার সুযোগে প্রেমিকা বিথি খাতুন তার ছেলেকে মোবাইল ফোন করে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মনিরুল ইসলামকে প্রথমে অচেতন করেন বিথি খাতুন। পরে তাকে ওই অবস্থায় ঘর থেকে বের করে বাড়ির সিঁড়িতে নিয়ে আসেন এবং মোটরসাইকেল গায়ের ওপর ফেলে দেয়া হয়। এরপর মোটরসাইকেল থেকে পেট্রোল বের করে তার গায়ের ওপর ঢেলে দিয়ে তাকে পুড়িয়ে হত্যা করেন বিথি খাতুন। এ ঘটনায় বিথি খাতুনকে আসামি কর শার্শা থানায় মামলা করেন আবুল হোসেন। পুলিশ আসামি বিথি খাতুনকে আটক করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন