কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে উম্মে সালমা আলম (১৬) নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
বৃহস্পতিার উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি)ও নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট ছামিউল ইসলাম।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.জিয়াউল হক মীর। ইউএনও বলেন, বুধবার দুপুরে চরহাজারী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বাল্য বিয়ের আয়োজন করার খবর পেয়ে দ্রুত সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছামিউল ইসলামকে পুলিশ ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কন্যার মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি তার মেয়েকে বাল্যবিবাহ দিচ্ছেন বলে স্বীকার করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাৎক্ষণিক বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে তাকে ৩হাজার টাকা অর্থদন্ড করে। বর পক্ষও তাদের দোষ স্বীকার করায় বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়। পরে কনের মা ১৮ বছর আগে তার মেয়েকে বিয়ে দেবে না মর্মে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ।
ইউএনও জিয়াউল হক মীর আরো জানান,গত (২১ নভেম্বর) কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের হস্তপেক্ষপে আরো একটি বাল্যবিহাব বন্ধ করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন