জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল ইউনিয়নের গংগাদাসপুর গ্রামে পুলিশের তৎপরতায় বন্ধ হলো বাল্যবিবাহ। ফলে রক্ষা পেলো ৭ম শ্রেনীর এক শিক্ষাথীর জীবন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান,সোমবার (১০ অক্টোবর) রাতে সদর উপজেলার গংগাদাসপুর গ্রামের বাবলু হোসেন ছেলে আরিফের সাথে তার গ্রামেই একই উপজেলার কেশবপুর গ্রামের মুনির হেসেনের মেয়ের সাথে বিবাহের অয়োজন চলছে সেই মূহুতে ন্যাশনাল ইমারজেন্সি ৯৯৯ নাম্বারে কল পাওয়ার পর সাথে সাথেই সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলামের নির্দেশে এসআই বেলাল সহ কয়েক জন পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
সেখানে গিয়ে বাল্য বিবাহের বিষয়টির সত্যতা পেলে পুলিশ সাথে সাথে বিবাহের আয়োজন বন্ধ করে দেয়।
পরে পুলিশ বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে মেয়েটির অভিভাবককে অবগত করলে মেয়েটির অভিভাবক তাদের ভুল বুঝতে পারে। এবং তারা প্রতিজ্ঞা করে ১৮ বছর পূর্ণ হওযার পূর্বে মেয়েকে বিবাহ দিবেনা। মেয়েটির পড়ালেখা তারা চালিয়ে যাবেন বলে তাদের মেয়েকে নিজ বাসায় নিয়ে যায়।
ওই গ্রামের কয়েকজন জানান, আজকে আমরা পুলিশের ভূমিকা দেখে মুগ্ধ হয়েছি। তারা ফোন পাওয়ার পর সাথে সাথেই এসে যেভাবে বাল্যবিবাহ বন্ধ করবে সেটা আমরা কল্পনায় করতে পারিনি। তারা আরও বলেন পুলিশের সম্পর্কে যে আমাদের একটা খারাপ ধারনা ছিলো সেটি আজকে কেটে গেলো।
শুধু এই গ্রামেই নয়, এখানকার মতো সারাদেশেরই বাল্যবিবাহ বন্ধের প্রতি পুলিশ আরও বেশি জোড়ালো ভূমিকা রাখবে, এমনই প্রত্যাশা জেলার সচেতন মানুষের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন