ঢাকার নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ থেকে প্রত্যাহার হওয়া বিচারক মোছা: কামরুন্নাহার ফৌজদারি মামলা পরিচালনায় ‘ফিট’ নন। ধর্ষণ মামলার এক আসামিকে অসৎ উদ্দেশে তিনি জামিন দিয়েছিলেন। এ কারণেই এই নারী বিচারকের ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয়েছে-মর্মে আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। ৬ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ আদেশে এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বুধবার রাতে সুপ্রিম কোর্ট ওয়েবসাইটে পূর্ণাঙ্গ লিখিত রায়টি প্রকাশিত হয়।
আদেশে বলা হয়, উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ থাকার পরও ধর্ষণ মামলার এক আসামিকে অসৎ উদ্দেশে জামিন দিয়েছিলেন বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার। সংবিধান অনুযায়ী তার বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। দেশের কোনো আদালতেই তিনি ফৌজদারি মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না। তিনি ফৌজদারি মামলা পরিচালনার জন্য উপযুক্ত নন।
প্রসঙ্গত: গত ২২ নভেম্বর স্থগিতাদেশ থাকার পরও ধর্ষণ মামলার এক আসামিকে জামিন দেয়ার ঘটনায় বিচারক মোছা. কামরুন্নাহারের ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার ব্যারিস্টার মুহাম্মদ সাইফুর রহমান এ বিষয়ে এক বিজ্ঞপ্তি দেন। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে বর্তমানে সংযুক্ত এবং ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর সাবেক বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগে সশরীরে উপস্থিত হন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আপিল বিভাগের কার্যতালিকার ১ নং ক্রমিকের মামলায় শুনানি শেষে তার ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা ‘সিজ করা হয়েছে’ মর্মে আদেশ প্রদান করেন।
প্রসঙ্গত: গত ১১ নভেম্বর রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণার পর পর্যবেক্ষণে বিচারক কামরুন্নাহার ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর মামলা না নিতে পুলিশকে ‘পরামর্শ’ দেন। রায়ের পর্যবেক্ষণ দেয়ার পর সারা দেশে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এ ঘটনায় ১৪ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি তাকে বিচারকাজ থেকে সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন