শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দেশের মোট জনসংখ্যার আড়াই শতাংশ কিডনি রোগে আক্রান্ত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ নভেম্বর, ২০২১, ৫:৪৮ পিএম

বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার আড়াই শতাংশ নানা ধরনের কিডনি রোগে ভুগছে। ১৯৯০’র দশকে জনসংখ্যার এক শতাংশ কিডনি জটিলতায় ভুগতো। অন্যদিকে কিডনি অকেজো হয়ে যাওয়ার পর ডায়ালাইসিস করে বেঁচে থাকতে গিয়ে কিডনি রোগীদের ১২ থেকে ২২ শতাংশ সম্পদ বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। ফলে এক সময় তারা দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে অথবা গেছে। বাংলাদেশের কিডনি রোগীদের মোট এক শতাংশেরও কম কিডনি প্রতিস্থাপনের সুবিধা রয়েছে। তবে কিডনি রোগটি প্রাথমিক অবস্থায় নিরূপন করতে পারলে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশে প্রয়োজনের তুলনায় নেফ্রলজিস্ট নেই। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নেফ্রলজিস্ট সম্মেলনে বিশিষ্ট কিডনি বিশেষজ্ঞরা এসব তথ্য দেন। শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয় সম্মেলনটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হলেও সম্মেলনটি ভার্চুয়ালি শুরু হয়েছিল গত ২০ নভেম্বর হতে এবং আজই সম্মেলন শেষ হয়। সম্মেলন যৌথভাবে আয়োজন করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র বাংলাদেশ, বাংলাদেশ রেনাল এসোসিয়েশন এবং আইএসএন।

ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের বীর উত্তম মেজর হায়দার অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কিডনি হাসপাতাল ও কিডনি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও চিফ অব কনসালটেন্ট প্রফেসর ডা. হারুন উর রশীদ।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিশু নেফ্রোলজিষ্ট প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ হানিফ, বাংলাদেশ রেনাল এসোসিয়েশন এন্ড এসোসিয়েশন ফিজিশিয়ান অব বাংলাদেশ প্রেসিডেন্ট প্রফেসরডা. মোহাম্মদ রাফিকুল আলম, সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) মামুন মোস্তাফী, স্বাগত রাখেন সান্ট্রিফিক কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. মাহবুবুর রহমান, ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার।

সম্মেলনে কিডনি বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাংলাদেশে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নেফ্রলজিস্ট নেই। তবে যারা আছেন তাদের বেশির ভাগ রাজধানীতে। ফলে রাজধানীর বাইরের রোগীর চিকিৎসা প্রয়োজন হলে তারা প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা পান না। বক্তারা বলেন, কিডনি রোগ ঠেকাতে প্রাথমিক লেভেল থেকেই প্রতিরোধমূলক চিকিৎসক শুরু করতে হবে। ধারণা করা হয় বাংলাদেশে ১৫ লাখ শিশু নেফ্রলজির রোগী রয়েছে কিন্তু তাদের চিকিৎসার জন্যও পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন