যশোরের ঝিকরগাছার গুলবাগপুর গ্রামের গৃহবধূ মমতাজ খাতুনকে হত্যার অভিযোগে স্বামীসহ ৬ জনকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা হয়েছে। বুধবার (০১ ডিসেম্বর) চৌগাছার মুক্তারপুর গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে নিহতের দুলাভাই হৃদয় হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহাদী হাসান অভিযোগটি গ্রহণ করে এ ঘটনায় থানায় কোন মামলা আছে কিনা সে ব্যাপারে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন ঝিকরগাছা থানার ওসিকে।
আসামিরা হলো গুলবাগপুর গ্রামের নজুর ছেলে নিহতের স্বামী শরিফুল ইসলাম ও স্ত্রী সখিনা খাতুন, শাহাজানের ছেলে পলাশ, চৌগাছার গয়ড়া গ্রামের তরিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আমেনা এবং স্বরূপদাহ গ্রামের, ইয়াছিনের ছেলে মাহবুব।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩১ মার্চ আসামি শরিফুল ইসলাম ঝিকরগাছার গঙ্গনন্দপুর গ্রামের আবু বক্কার সিদ্দিকের মেয়ে মমতাজকে বিয়ে করে। কিছুদিন যেতে না যেতে যৌতুকের দাবিতে মমতাজের উপর শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন শুরু করে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এরমধ্যে মমতাজ জানতে পারে তার স্বামী আগে একটি বিয়ে করেছিল। স্বামীসহ অন্যদের অত্যাচারে সে চলে যেতে বাধ্য হয়। মমতাজের উপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় তিনি তার এক আত্মীয়ের বাড়ি চলে যান। চলতি বছরের ২৬ জুলাই আসামিরা এসে মমতাজকে তার স্বামীর বাড়ি নিয়ে যায়। পরদিন সন্ধ্যায় মামলার বাদী হৃদয় হোসেন সংবাদ পান মমতাজ মারা গেছে। মমতাজের শ্বশুর বাড়ি যেয়ে দেখে সকলে পালিয়েছে। মমতাজের লাশ বারান্দার খাটের উপর পড়ে আছে।
পরদিন পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় থানায় হত্যার অভিযোগ করলেও প্রভাবশালীদের কারণে তা গ্রহণ গ্রহণ করেনি পুলিশ। করোনার কারণে পুলিশ দুর থেকে কোনরকম সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করায় আঘাতের কথা উল্লেখ করেনি। লাশ গোসলের সময় একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। পরে খোঁজখবর ও সাক্ষীদের সাথে কথা বলে মমতাজকে হত্যার অভিযোগে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন