অতি সীমিত পণ্য বিক্রি সহ দফায় দফায় দাম বাড়ানোয় বরিশাল অঞ্চলে নিত্য পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে তেমন কোন প্রভাব পড়ছেনা রাষ্ট্রীয় বাণিজ্য সংস্থা-টিসিবি’র পণ্য বিক্রি কার্যক্রম। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত ভোজ্য তেল, চিনি, পেঁয়াজ ও মূষর ডাল বিক্রি করে এক সপ্তাহ বিরতি দিয়ে ৫ ডিসেম্বর থেকে পুনরায় শুরু হলেও এ অঞ্চলে প্রতিটি পণ্যের সরবরাহ হ্রাস করেছে টিসিবি। উপরন্তু চিনি ও মুসুর ডাল ও ভোজ্য তেলের দাম দুদফায় প্রতি কেজিতে ৫Ñ১০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধির ফলে বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারী এ উদ্যোগে তেমন কাজে আসছে না বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকগন। গত মাসেও চিনি, ভোজ্য তেল ও মুসর ডালের দাম প্রতি কেজিতে ৫ টাকা করে বাড়ান হয়।
অপরদিকে এবার ৫ ডিসেম্বর থেকে বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে মাত্র দুটি ট্রাকে ৪শ কেজি করে পেয়াঁজ, ৪শ লিটার সয়াবিন তেল, ৫শ কেজি চিনি ও মাত্র ২শ কেজি মুসুর ডাল বিক্রীর জন্য দেয়া হচ্ছে। ফলে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ট্রাকের পেছনের লম্বা লাইনের শেষ প্রান্তে অপেক্ষমান লোকজনের পক্ষে টিসিবি’র পণ্য কেনা সম্ভব হচ্ছেনা। দেড় থেকে দুঘন্টার মধ্যেই পণ্য বিক্রী শেষ হয়ে যাচ্ছে।
উপরন্তু নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের জন্য মাত্র দুটি ট্রাকে টিসিবি’র এ সিমিত পণ্য বিক্রী কার্যক্রমকে ভোক্তাগন ‘সিন্ধুতে বিন্দু’র মত বলে মন্তব্য করেছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে নগর প্রশাসন বা জেলা প্রশাসনও কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছে না।
বরিশাল বাদে অপর ৫টি জেলা সদরে মাত্র ১টি করে ট্রাকে এবং প্রতিটি জেলার যেকোন একটি উপজেলা সদরে পর্যায়ক্রমে একটি ট্রাকে টিসিবি পণ্য বিক্রী করছে বলে জানা গেছে। তবে এত সিমিত পণ্য নিয়ে দুর দুরান্তের জেলা উপজেলা সদরে যেতে অনিহা প্রকাশ করছে ডিলারগন। তাদের মতে, সব মিলিয়ে মাত্র দেড়টন পণ্য নিয়ে একটি ট্রাক দুরের জেলা ও উপজেলায় পণ্য বিক্রী করতে গিয়ে তাদের মুনফার টাকা পরিবহন ব্যায় সহ কর্মচারীর বেতনেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। অনেক সময়ই লাভ দুরের কথা, বিনিয়োগের আসল টাকাই ফেরত আসছে না ।
এসব ব্যাপারে টিসিবি’র বরিশাল অফিসের উপ-পরিচালক কোন মন্তব্য করতে রাজী না হলেও সদর দপ্তরের নীতিমালা ও নির্দেশনার আলোকেই সব কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন