আর একদিন পর শীত ঋতুর প্রথম মাস পৌষ শুরু। তবে পৌষ আসার আগেই উত্তরের হিমালয় পর্বতমালা ছুঁয়ে আসা হিমশীতল বাতাস উত্তরাঞ্চলে কাঁপন তুলেছে। উত্তর জনপদ দিয়ে শীতের হাওয়া দেশে প্রবেশ করছে। শীতের সঙ্গে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশায় মাঠ-ঘাট, প্রান্তর, গ্রাম-জনপদ ঢাকা পড়ছে। আবহাওয়া বিভাগ জানায়, পশ্চিমা উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ উত্তরাঞ্চলের কাছাকাছি পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এরফলে শীতের মাত্রা বেড়ে গেছে।
শীত ও কুয়াশার কারণে উত্তর জনপদে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। গরীব ছিন্নমূল অভাবী মানুষজন খড়কুটা পুড়িয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। সরকারি-বেসরকারি কিংবা বিত্তবানশ্রেণির শীতবস্ত্র বিতরণের কোন উদ্যোগ এখনও দেখা যাচ্ছে না। গতকাল সোমবারও দেশের সর্বনিস্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এছাড়া ঢাকায়ও পারদ নেমে আসে ১৬.২ ডিগ্রিতে। শ্রীমঙ্গলে ১০.৭, সীতাকুন্ড ও চুয়াডাঙ্গায় ১১ ডিগ্রি সে.। গতকাল দেশের অধিকাংশ স্থানে মধ্যরাত থেকে ভোর-সকাল পর্যন্ত তাপমাত্র নেমে আসে ১০ থেকে ১৪ ডিগ্রিতে। দিনের তাপমাত্রাও হ্রাস পাচ্ছে। অধিকাংশ স্থানে দিনের বেলায় তাপমাত্র ছিল ২৫ থেকে ২৬.৫ ডিগ্রি সে.। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ৩০.৮, ঢাকায় ২৬.৯ ডিগ্রি সে.।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলাসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সকালের দিকে সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। এরপরের ৫ দিনে রাতের তাপমাত্রা আরো সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের একটি বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও এর সংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন