উপমহাদেশের উইকেট বরাবরই স্পিন বান্ধব। এখানের উইকেটে এসে রীতিমত লড়াই করতে হয় বাইরের দেশের পেসারদের। উপমহাদেশের বাইরে খেলতে গিয়েও এখানকার ব্যাটারদের গতি ও বাউন্সের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়।
এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসতে ড্রপ ইন পিচের ব্যবহার শুরু হয়েছে এই দশকে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও (পিসিবি) ৩৭ কোটি রুপি খরচা করে ড্রপ ইন পিচ ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছে। এই বিষয়টি স্থানীয় গনমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পিসিবির চেয়ারম্যান রমিজ রাজা, তিনি বলেন, ‘এসব ড্রপ-ইন পিচ আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলোয়াড়দের অনেক সাহায্য করবে। ঐতিহ্যগতভাবেই আমরা অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বাড়তি বাউন্সে খাবি খাই। যে কারণে প্রতিভা থাকার পরেও অস্ট্রেলিয়ায় আমরা কখনও টেস্ট সিরিজ জিততে পারিনি।’
ড্রপ ইন পিচ মূলত পছন্দের মতো উইকেট বানিয়ে সেটা মাঠের পিচের জায়গায় বসিয়ে দেয়া যায়। এই পিচ ব্যবহারের ফলে উপমহাদেশের মাটিতেও অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মতো পেস বান্ধব উইকেট বানানো সম্ভব। রমিজ রাজা পিসিবির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেয়ার পরই দেশটির ক্রিকেটের উন্নয়নে তৃণমূল থেকে কাজ করছেন। পাকিস্তানের ক্রিকেটে ড্রপ ইন পিচের ব্যবহার এরই একটি অংশ।
গত রোববার অনুষ্ঠিত হয়েছে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) প্লেয়ার্স ড্রাফট। সেখানেই আরিফ হাবিব গ্রুপের সঙ্গে ড্রপ-ইন পিচ নিয়ে এক সমঝোতা সাক্ষর করেছেন পিসিবি চেয়ারম্যান রমিজ। তারাই মূলত ৩৭ কোটি রুপি খরচায় দুটি ড্রপ ইন পিচ এনে দেয়ার জন্য সম্মত হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন