নগরীতে মাহমুদা খানম আঁখি (২১) নামে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে নির্মমভাবে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার পরিবারের অভিযোগ স্বামী আইনজীবী আনিসুল ইসলাম (৩২) এবং তার পরিবারের সদস্যরা যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে আঁখিকে খুন করেছেন। নিহত আঁখি নগরীর চান্দগাঁও থানার পাঠানিয়া ঘোনার প্রবাসী মফিজুর রহমানের কন্যা । বেসরকারি সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন তিনি । পাঁচলাইশ থানার ওসি জাহিদুল কবীর বলেন, অভিযুক্ত আনিসুল ইসলামসহ দুইজনকে আটক করে চান্দগাঁও থানার সোর্পদ করা হয়েছে।
আঁখির মৃত্যুর ঘটনায় তার বড় ভাই নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে গতকাল রোববার রাতে নগরীর চাদগাঁও থানা একটি মামলা করেন। এ হত্যা মামলায় আনিসুলকে আসামি করা হয়েছে। চাদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মইনুর রহমান বলেন, আঁখির ভাই নিজামের করা মামলায় আসামি আনিসুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। ওসি মইনুর রহমান বলেন, চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে আঁখির খাদ্যনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। নির্যাতনের কারণে এমনটা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহতের ভগ্নিপতি আবুল কালাম বলেন, দুই বছর আগে আনিসুলের সঙ্গে আঁখির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাকে নির্যাতন করে আসছিলেন স্বামী। গতকাল নির্যাতনের একপর্যায়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন মাহমুদা। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।এ মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল রাত নয়টার দিকে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের সামনে থেকে আনিসুলকে আটক করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। মামলার বাদী নিজামের অভিযোগ, যৌতুকের জন্য স্বামী আনিসুলের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে।
চান্দগাঁও থানার ওসি মইনুর রহমান বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে, নির্যাতনে খাদ্যনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আঁখির মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর তার মৃত্যুর কারণ আরও স্পষ্ট হবে। এ ঘটনায় আসামি আনিসুলকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন