রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

২০ মাসে সরবরাহের কথা থাকলেও দেখা নেই ৫ বছরেও

নাছিম উল আলম : | প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

 বরিশাল-ঢাকা নৌপথে প্রায় ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি অভ্যন্তরীণ যাত্রীবাহী নৌযানের নির্মাণ কাজ ৫ বছরেও সম্পন্ন হয়নি। চুক্তি অনুযায়ী এমভি বঙ্গমাতা ও এমভি বঙ্গতরি নামের এ দুটি নৌযান ২০ মাসে সরবরাহের কথা থাকলেও বিআইডবিøউটিসি ৬০ মাসেও তা বুঝে পায়নি। প্রকল্পের মেয়াদ কয়েক দফা বৃদ্ধি করা হলেও এখন সে সুযোগও প্রায় নেই। নৌযান দুটির নির্মাণ কাজের বাস্তব অগ্রগতি গড়ে প্রায় ৮০ ভাগ হলেও ৯০ ভাগেরও বেশি অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রের দাবি। তবে সংস্থাটির দায়িত্বশীলরা এ ব্যাপারে কিছু বলেননি।

তবে একটি সূত্রের মতে, প্রায় ৬৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকায় নৌযান দুটি নির্মাণের এ প্রকল্পখাতে সংস্থাটির তহবিলে মাত্র সাড়ে ৩ কোটি টাকা অবশিষ্ট রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, গত প্রায় বছরখানেক ধরে নৌযান দুটি নির্মাণে কার্যত কোন অগ্রগতি না থাকলেও কয়েক মাস আগে নির্মাণ প্রতিষ্ঠানকে ৬ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে অনেকটা বিধি বহিভর্‚তভাবে। বিষয়টি নিয়ে সদ্য যোগদানকারী চেয়ারম্যান যথেষ্ট অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলেও জানা গেছে।

তবে এ ব্যাপারে সংস্থার চেয়ারম্যান আহমদ শামীম আল রাজীর সেল ফোনে বেশ কয়েকবার কল ও ক্ষুদে বার্তা দেয়া হলেও তিনি কোন সাড়া দেননি। তবে পরিচালক কারিগরির সাথে আলাপ করা হলে তিনি ব্যস্ত থাকায় বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি। বিষয়টি নিয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সরাসরি খোঁজ-খবর রাখছে বলে জানিয়ে এ ব্যাপারে সব সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয় ও সংস্থা মিলেই গ্রহণ করবে বলে জানান। যত দ্রæত সম্ভব নৌযান দুটির নির্মাণ কাজ শেষ করে বাণিজ্যিক পরিচালনে দেয়ার ব্যাপারেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।

বিষয়টি নিয়ে সরেজমিনে খোঁজ নিতে ওয়েস্টার্ন মেরিনে গিয়ে তা বন্ধ থাকায় ভেতরে প্রবেশ করা বা কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। শিপ বিল্ডার্সটির বেসিনের কিনারায় নৌযান দুটি পড়ে আছে। তবে দুটি নৌযানেরই মূল অবকাঠামোসহ উপরি কাঠামোর স্টিল স্ট্রাকচারের কাজ শেষ হয়েছে। দু’টি নৌযানেরই মূল ইঞ্জিনসহ জেনারেটর আমাদানির পরে তা জাহাজে পৌঁছেছে। ব্রিজ ইকুপমেন্টও নৌযানে পৌঁছালেও তার বেশিরভাগই সংযোজন করা হয়নি।

এ অবস্থায় নৌযান দুটির নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকলেও তা কবে শেষ হবে সে বিষয়ে বিআইডবিøউটিসি’র কাছে কোন জবাব নেই। তবে সংস্থাটিতে সদ্য যোগদানকারী চেয়ারম্যান খুব শিগগিরই সরেজমিনে নৌযান দুটি পরিদর্শনে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

সাড়ে ৭শ’ যাত্রী বহনক্ষম ২৪৩ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪১ ফুট প্রস্থ নৌযান দুটিতে ১১শ’ অশ্ব শক্তির দুটি করে মূল ইঞ্জিন ছাড়াও ৩টি মূল জেনারেটর সাথে আরো ১টি স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর থাকবে। প্রতিটি নৌযানের ডেকে সাড়ে ৬শ’ যাত্রী ভ্রমণের সুবিধা ছাড়াও প্রথম শ্রেণির ৫৪টি ও ২য় শ্রেণির ৪০টি আসন থাকবে। এছাড়াও ৮টি ভিআইপি কক্ষ থাকার কথা প্রতিটি নৌযানে।

কিন্তু ২০ মাসে সরবরাহের লক্ষ্যে চুক্তির পরে ৬০ মাস অতিক্রান্ত হলেও নৌযান দুটির কোন দেখা না মেলায় বিআইডবিøউটিসি’র দায়িত্বশীলরাও বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ঠ উদ্বিগ্ন। তবে এ ব্যাপারে কেউ কোন কিছু বলতে চাচ্ছেন না। মূল প্রকল্প পরিচালক অবসরে চলে যাবার পরে আরো কয়েকজনের হাত ধরে সর্বশেষ সংস্থাটির মেরিন বিভাগের ডিজিএম বাপ্পি অধিকারী এর দায়িত্বে থাকলেও তিনিও এ বিষয়ে কোন কিছু বলতে রাজি হননি।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন