বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

নিত্য পণ্য সহ জ্বালানীর মূল্য বৃদ্ধিতে চরম দূর্ভোগে দক্ষিণাঞ্চলের সাধারন মানুষ

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:২১ পিএম

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহ জীবনযাত্রার ব্যায় বৃদ্ধিতে দক্ষিণ জনপদের মানুষের দূর্ভোগ ক্রমশ বর্ণনার বাইরে চলে যাচ্ছে। ভাল নেই দক্ষিণাঞ্চলের পল্লী এলাকার কৃষক থেকে সাধারন মানুষও। চাল ডাল,ভোজ্য তেল,চিনি, রান্নার গ্যাসের সাথে জ‌বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধির পাশাপশি সড়ক ও নৌপথে পরিবহন ব্যায় বৃদ্ধিতে সাধারন মানুষের জীবন এখন ওষ্ঠাগত। করোনা সংকটে নি¤œ-মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর সংসার চালান যেখানে কষ্টকর হয়ে উঠছিল, সেখানে একের পর এক নিত্যপন্যের মূল্য বৃদ্ধির সাথে জ্বালানী তেলের দাম বড়ায় পরিবহন সেক্টরে অস্বাভাবিক ব্যায় বৃদ্ধি পরিস্থিতিকে যথেষ্ঠ নাজুক করে তুলেছে। আসন্ন রমজানে পণ্যমূণ্য পরিস্থিতি সাধারন মাসুষের দূর্ভোগ কোথায় গিয়ে ঠেকবে,তা নিয়ে শংকা বাড়ছে সর্ব মহলেই।
এমনকি এবার ভরা আমন মৌসুমেও চালের দাম কমেনি দক্ষিণাঞ্চলে। অথচ ধানের দাম ছিল গত বছরের চেয়ে মনপ্রতি ১শ থেকে ২ম টাকা কম। দেনা শোধ করতে বেশীরভাগ প্রন্তিক কৃষকই ভরা মৌসুমে কম দামে ধান বিক্রী করতে বাধ্য হয়েছেন। এখন বেশী দামে চাল কিনতে গিয়ে মহা সংকটে এঅঞ্চলের কৃষকগন।
পণ্যমূল্য বৃদ্ধি এখন দক্ষিণাঞ্চলের শহুরে জীবনের মত পল্লী এলাকায়ও যথেষ্ঠ বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এ অঞ্চলে ৪৫ টাকার নিচে এখন নি¤œÑমধ্যম মানের চালও মিলছে না। নি¤œ-মধ্যম মানের ‘ব্রি-২৮’ চালের কেজিও ৫৩-৫৪ টাবা কেজি। মধ্যম সরু মানের ‘মিনি কেট’ চালের কেজি ৬৪-৬৬ টাকা কেজি। সয়াবিন তেরে দাম আরেক দফা বেড়ে এখন ১৭০ টাকা লিটার। পাম তেলের লিটারও ইতোমধ্যে ১৬০ টাকায় উঠেছে। চিনির কেজি এখন ৮০ টাকার ওপরে। মুসুর ডাল সহ সব ধরনের ডালের দামও ইতোমধ্যে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। দেশীয় জাতের মুসুর ডালের কেজি ১শ টাকার ওপরে, মুগ ডালের কেজি ১৩০ টাকা। খেশারী ডালও ৬৫ টাকা কেজি। সামনে রোজায় খেশারী ডালের দাম আরো বাড়বে বলে শংকিত সাধারন মানুষ।
রান্নার গ্যাসের দাম নিয়েও ক্ষুদ্ধ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। গত বছর এ সময়ে সাড়ে ১২ কেজির যে এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ছিল সাড়ে ৮শ টাকা, এখন তা সাড়ে ১২শ টাকা।
এদিকে ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির সুবাদে সারা দেশের সাথে দক্ষিণাঞ্চলেও সড়ক ও নৌ পথে ভাড়া বড়েছে যথাক্রমে ৩০ ভাগ ও ৩৫ ভাগ। ফলে পরিবহন ব্যায় বেড়ে পণ্যমূল্য বৃদ্ধির বাড়তি ক্ষেত্র তৈরী হয়েছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহল। মানুষের চলাচলও যথেষ্ঠ সিমিত হয়ে পড়োছে। এমনকি জ‌বালানীর মূল্য বৃদ্ধি সহ নানা অজুহাতে বরিশাল সেক্টরে আকাশ পথেও গত এক বছরে যাত্রীভাড়া বেড়েছে ৫শ টাকা।
নিত্য পণ্যমূল্য বৃদ্ধির এ ধারা আসন্ন রমজানে কি পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে, তা নিয়ে শংকিত দক্ষিণাঞ্চলের সাধারন মানুষ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন