যশোর শহরের বেজপাড়ায় প্রতিপক্ষের হাতে যশোরে যুবলীগ নেতা হত্যার শিকার হয়েছেন। বুধবার রাত পৌনে ৮টার দিকে যশোর বেজপাড়া ব্রাদার্স ক্লাবের ভিতরে এ ঘটনা ঘটে। যশোর ক সার্কেলের এএসপি বেলাল হোসেন হত্যাকান্ডের এ ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
যুবলীগ নেতা ইয়াসিন হোসেন (৩০) বেজপাড়া পানির ট্যাংকের এলাকার মনির হোসেনের ছেলে। নিহত ইয়াসিন যশোর পৌর ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের নেতা ছিলেন। যশোর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী শফিকুল ইসলাম জুয়েলের সাথে রাজনীতি করতেন।
নিহতের স্ত্রী শাহানা আক্তার নিশা বলেন, ক্লাবে ক্যারাম খেলা অবস্থায় মাঠপাড়ার সুমন, স্বর্ণকার রানা, রুবেল, ধনী এরা সরাসরি হত্যাকান্ডে অংশ নেয়। আমার স্বামী মাদকের বিরোধিতা করায় এরা হত্যা করলো। স্বামী হত্যার বিচার চাই।
নিহতের ফুফাতো ভাই ইমরান বলেন, যশোর বেজপাড়া ব্রাদার্স ক্লাবের ভিতরে ক্যারামবোর্ড খেলা অবস্থায় অতর্কিত ১০-১২ জন এসে এলোপাতাড়ি কুপায়। সবাই মানকি টুপি পড়া ছিল, প্রথমে ইট দিয়ে আঘাত করা।
জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী শফিকুল ইসলাম জুয়েল বলেন, নিহত ইয়াসিন সাংগঠনিক ছেলে ও এলাকায় মাদকের বিরোধিতা করায় এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মনিরুজ্জামান বলেন, আটটার সময় হাসপাতালে মৃত অবস্থায় নিয়ে এসেছে। মৃতের গায়ে ৭ থেকে ৮ কোপানোর চিহ্ন আছে।
নিহতের শ্বশুর মানোয়ার ওরফে মানু অভিযোগ করে বলেন, চোপদারপাড়া এলাকার ব্রাদার্স ক্লাবে বসে ইয়াসিন খেলা করছিল। এসময় রাত পৌনে ৮টার দিকে পূর্বশত্রুতার কারণে একই এলাকার স্বর্ণকার বাবু ও রুবেল তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে চলে যায়। স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে আনলে তিনি মারা যান।
প্রত্যক্ষদর্শী রাজিবুল হাসান নামে একজন জানান, ক্লাবে বসে খেলা করার সময় কয়েকজন সন্ত্রাসী এসে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়।
কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তাসকিন আলম জানান, প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ইয়াসিন মারা গেছেন। তার নামে কোতয়ালি থানায় হত্যা, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ এক ডজন মামলা রয়েছে বলে জেনেছি। তার মামলার পরিমান খুঁজে দেখা হচ্ছে। একই সাথে ইয়াসিন হত্যার সাথে জড়িতদের আটকে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন