বগুড়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে জেলার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াছমিন ওই রায় ঘোষণা করেন। বিচারক তার রায়ে দণ্ডিত রতন মিয়ার ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করেন।
আদালত সূত্র জানায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রায় কুড়ি বছর পূর্বে রতন মিয়া তার স্ত্রী শাকিলা খাতুনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত রতন মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতেই রায় ঘোষণা করা হয়।
বিচারিক আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটির বিনয় কুমার দাশ বিশু জানান, ১৯৯২ সালে সদর উপজেলার গাজী পালশা এলাকার মৃত শুকুর মাহমুদের ছেলে রতন মিয়ার সাথে একই গ্রামের আজাহার আলীর মেয়ে শাকিলা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের দশ বছর পর রতন তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শাকিলা খাতুন মামলা দায়েরর প্রস্তুতি নেয়। তখন রতন মিয়া তালাকের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে কিন্তু শাকিলার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন অব্যাহত রাখে।
অ্যাডভোকেট বিনয় কুমার দাশ বিশু আরও জানান, সর্বশেষ ২০০২ সালের ২০ জুন রাতে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। পরদিন রতন মিয়া তার স্ত্রী শাকিলা খাতুনকে গ্রাম্য এক কবিরাজের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। সকাল ৮টার দিকে শহরের গোদারপাড়া এলাকায় পৌঁছার পর রতন মিয়া ধারালো ছুরি দিয়ে তার স্ত্রীকে এলোপাথাড়ি আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই শাকিলা খাতুনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় নিহত শাকিলা খাতুনের ভাই সারোয়ার হোসেন বাদী হয়ে রতন মিয়াকে আসামী করে বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রায় ৪ মাসের তদন্ত শেষে ২০০২ সালের ১৭ অক্টোবর পুলিশ আদালতে রতন মিয়ার বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করে। মামলায় মোট ১১জন সাক্ষ্য প্রদান করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন