শনিবার, ২৫ মে ২০২৪, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

শেরপুরের নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন! ক্রেতারা দিশেহারা

ঝিনাইগাতী (শেরপুর) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০২২, ৪:১৬ পিএম

শেরপুর জেলাসহ উপজেলাসমূহে নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন-ক্রেতারা দিশেহারা হয়ে পড়লেও বেশি দামে পণ্য বিক্রি রোধে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নেই কোন তৎপরতা। সারা দেশের ন্যায় জেলাসদর ও উপজেলাসদরে ভোজ্যতেলসহ নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে দিশেহারা মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের লোকজন। সরবরাহ কম থাকার অজুহা‡ত ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছেন। একই বাজারে দামের তারতম্য দেখা গেছে। বিক্রেতারা ইচেছমতো ৫-১০ টাকা বেশি রাখছেন, অভিযোগ ক্রেতাদের। সপ্তাহের ব্যবধানে বোতলজাত সয়াবিন লিটারে ১০-১২ টাকা বেশি বিক্রি করছেন। তেলের সংকটসহ নানা অজুহা‡ত ক্রেতাদের থেকে গলাকাটা দাম আদায় করছেন।
ক্রেতারা বলেন, বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হচেছ ১৮০ টাকায়। খোলা সয়াবিন লিটার নির্ধারিত মূল্য ১৪৩ টাকা, বিক্রি হচেছ ১৬০-১৬২ টাকায়। পাম তেলের মূল্য ১৩৩ টাকা, বিক্রি হচেছ ১৫০-১৫৫ টাকায়। মাছ মাংসের বাজারেতো আগুন। দামে চড়া ব্রয়লার মুরগি। দাম বেড়েছে চাল, আটা, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয়- খাদ্যপণ্য, শাক-সবজির হু হু করে দাম বাড়vয় সাধারণ মানুষের আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের ব্যবধান সৃষ্টি হচেছ। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্রমেই ক্ষোভ বাড়ছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি মোটা চাল ৪৫-৫০ টাকা, চিকন ৬৫-৭০ মাঝারি ৫৫- ৫৮ টাকায়। আটা কেজি ৩৫ টাকা, প্যাকেটজাত ৪০-৪৫খোলা ময়দা ৫০-৫৮ টাকা।
সবজির বাজারে শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, বরবটি, পেঁপে, গাজর, টমেটো ও কাঁচামরিচের দাম না বাড়লেও রয়েছে অপরিবর্তিত। সাধারণ ক্রেতারা প্রয়োজনের অর্ধেক কিন‡ছ। প্রতি কেজি টমেটো ৩০-৩৫ টাকা, ফুলকপি ২৫-৩০, শিম ৩৫-৪০, শিমের বিচি ১০০, পেঁপে ২৫, বেগুন ৫৫-৬০কাঁচামরিচ কেজি ৫৫-৬০ টাকায়। পেয়াজের ঝাঁজ বেড়েছে কেজিতে ৫-৭ টাকা।
বাজার করতে আসা শতবর্ষী ডা: আব্দুল বারী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা, সরোয়ার্দী দুদু মন্ডল ও সাবেক ইউপি চেয়াম্যান আইয়ূব আলী ফর্সা জানান, নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসেব মিলছে না। শাক-সবজি কেনাও কষ্টসাধ্য নিন্ম আয়ের মানষের। বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কেন নজরদারি নেই। ফলে ব্যবসায়ীরা ইচেছমতো পণ্যের দাম বাড়াচেছন বলে অভিযোগ তাঁদের।
তারা জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় সব খাদ্যপণ্যের দাম বাড়লেও নিরবেই মেনে নিতে হচেছ ।
বাজার করতে আসা আশ্রাফুল আলম ও আরিফ বলেন, ‘সবকিছুর দাম বাড়ছে,সামনে রমজানেতো আরো বাড়বে, কীভাবে চলব, ভেবে মাথা ঘুরছে।’
তারা বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বিপাকে পড়েছি, রমজানে কি হবে আল্লাহই জানেন। ‘আয়ের সাথে ব্যয়ের ভারসাম্য রাখতে প্রতিদিন কাটছাঁট করতে হচেছ বাজারের লিষ্ট। বাধ্য হচিছ বাজার করা কমিয়ে দিতে। রমজানে যে কি হবে চিন্তায় এখনই ঘুম ধরে না।
ব্যবসায়ীরা জানান, পাইকারি সংকট থাকায় সময়ে সরবরাহ হচেছনা। বাজারে প্রভাব পড়ায় বেড়েছে পণ্রের দাম। ‘পাইকারেরা তেল, আটা, ডালসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের সংকট দেখিয়ে সঠিক সময়ে তা দিচেছননা। অর্ডারের মালামালেও অতিরিক্ত দাম নিচেছন। বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হচেছ।’
তারা বলেন,বাজারে প্রশাসনের সঠিক তদারকির অভাবে ব্যবসায়ীরা ইচেছমাফিক দাম বাড়াচেছন। ব্যবসায়ীরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন। ফলে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন