বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পূবালী ব্যাংক শাখার লকার থেকে ১৫ ভরি স্বর্ণ গায়েব হয়ে গেছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষের ভেতরে-বাইরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার (২১ মার্চ) বিকেলে এ ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী বাকৃবির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার অতিরিক্ত পরিচালক মো: শফি উল্লাহ।
এদিকে এ ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মো: আনিসুর রহমান। দুপুরে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় বাকৃবির প্রক্টর প্রফেসর ড. মহির উদ্দিন, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাকৃবির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার অতিরিক্ত পরিচালক মো: শফি উল্লাহ জানান, ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল আমার স্ত্রী ফারহানা ইয়াসমিন পূবালী ব্যাংকের ৬৪ নং লকারে ১৫ ভরি স্বর্ণ সংরক্ষণ করে। এরপর তিনি আর লকার খুলেননি। কিন্তু গতকাল (২০ মার্চ) রবিবার ব্যাংকের লকার খুলে দেখেন স্বর্ণ নেই। তখন বিষয়টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা বিষয়টি অবহিত নয় বলে জানান।
ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মো: আনিসুর রহমান বলেন, লকার মালিক ৩ বছর আগে এই লকারটি ভাড়া নিয়েছিল। এরপর তিনি আর কখনো আসেননি। নিয়ম অনুযায়ী লকারের চাবি মালিকের হাতে থাকে। এখান থেকে স্বর্ণ গায়েব হবার কোন সুযোগ নেই। তবে ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে। তাছাড়া লকার এখনো অক্ষত, চাবি ছাড়া খোলার কোন সুযোগ নেই। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। তারা ইতিমধ্যে রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করেছেন।
এবিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো: নজরুল ইসলাম ফরাজী বলেন, ঘটনার বিষয়ে তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন