দক্ষিনাঞ্চলে পুনরায় ডায়রিয়ার বিস্তৃতি ঘটছে। সোমবার দুপুরের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় এ অঞ্চলের ৬ জেলা ও ৪৩টি উপজেলা হাসপাতালে ৩১৯ জন ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসার জন্য এসেছে বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে। এনিয়ে গত ৩ মাসে দক্ষিনাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১৩ হাজার নারী-পুরুষ ও শিশু ডায়রিয়া রোগী সরকারী হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার জন্য এসেছে বলে জানা গেছে। পটুয়াখালী ও ভোলাতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা বেশী।
তবে সরকারী হাসপাতালে আগত এসব রোগীর দ্বিগুনেরও বেশী বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিক সহ চিকিৎসকদের চেম্বারে চিকিৎসা নিয়েছে বলে ওয়াকিবাহল মহলের দাবী। গতবছরও দক্ষিনাঞ্চলের ৬টি জেলাতেই বিপুল সংখ্যক মানুষ ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়। মূলত তাপমাত্রা স্বাভাবিকের ওপরে প্রবাহিত হওয়ায় ছাড়াও অনাবৃষ্টি এবং উজানে প্রবাহ সংকটে গত কয়েক বছর ধরে দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীগুলোতে সাগরের লবনাক্ত পানি উঠে আসায় প্রতি বছরই এসময়ে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। গতবছরও মার্চ থেকে জুলাই মাসের মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করে। এরমধ্যে মৃত্যু হয় প্রায় ২৫ জনের।
চলতি বছরও ইতোমধ্যে পটুয়াখালীতে দুজন ডায়রিয়া আক্রান্তের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও স্বাস্থ্য বিভাগ তা নিশ্চিত করেনি। ‘বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে’ বলে বিভাগীয় পরিচালক জানিয়েছেন।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। মহানগরীর জেনারেল হাসপাতালে ৪ শয্যার ডায়রিয়া ওয়ার্ডে সোমবারেও ১৭জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে জানা গেছে।
সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে ডায়রিয়া আক্রান্তদের চিকিৎসায় ৩শতাধীক মেডিকেল টিম কাজ করছে বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে। পাশাপাশি প্রায় পৌনে ২ লাখ ব্যাগ আইভি স্যালাইন সহ প্রয়োজনীয় অন্যসব ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রীও মজুদের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন