শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

দক্ষিণাঞ্চলে এক মাসে ১৫ হাজার ডায়রিয়া রোগী

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩১ জুলাই, ২০২২, ৪:৩০ পিএম

দক্ষিণাঞ্চলে ডায়রিয়া পরিস্থিতির নতুন করে অবনতি না হলেও গত এক মাসে আরো ১৫ হাজারেরও বেশী নারী-পুরুষ শিশু বিভিন্ন সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করেছেন। এ নিয়ে গত ৫ মাসে দক্ষিণাঞ্চলের ৪২ উপজেলায় প্রায় ৫০ হাজার নারীÑপুরুষ ও শিশু’র ডায়রিয়া আক্রান্তের কথা বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফÍর জানাল। তবে সরকারী হাসপাতালের বাইরেও আরো কয়েকগুন রোগী বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিক ছাড়াও চিকিৎসকদের চেম্বারে ব্যবস্থাপত্র গ্রহন করেছেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
এবছরও গত মার্চের মধ্যভাগ থেকেই দক্ষিণাঞ্চলে ডায়রিয়ার বিস্তৃতি শুরু হয়। গত বছরও মার্চ থেকে জুলাইয়ে শেষভাগ পর্যন্ত এ অঞ্চলে প্রায় ৭৫ হাজার মানুষের ডায়রিয়া আক্রান্তের খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য বিভাগ। মৃত্যু হয়েছিল ২৫ জনের। তবে এবার গত বছরের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা যেমনি কিছুটা কম, তেমনি মৃত্যুরও কোন খবর নেই।
সদ্য সমাপ্ত জুলাই মাসের ৩১ দিনে আক্রান্ত ১৫ হাজারের মধ্যে দ্বীপজেলা ভোলাতেই সংখ্যাটা সর্বাধিক। পাশাপাশি বরিশাল,পটুয়াখালী ও পিরোজপুরেও আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ঠ বেশী। স্বাস্থ্য বিভাগের মতে, গত ৫ মাসে দক্ষিণাঞ্চলে সর্বমোট আক্রান্তের মধ্যে ভোলার সরকারী হাসপাতালগুলোতেই প্রায় সাড়ে ১০ হাজার ডায়রিয়া আক্রান্ত মানুষ চিকিৎসা গ্রহন করেছেন। এসময়ে পিরোজপুরেও প্রায় ১০ হাজার, পটুয়াখালীতে প্রায় ৯ হাজার, বরিশালে ৮ হাজার ৬৮২, বরগুনাতে প্রায় ৬ হাজার এবং ঝালকাঠীতেও প্রায় ৫ হাজার ডায়রিয়া আক্রান্ত নারীÑপুরুষ ও শিশু সরকারী হাসপাতালসমুহে চিকিৎসা গ্রহন করেছেন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফÍরের মতে, দক্ষিনাঞ্চলে আক্রান্ত প্রায় ৫০ হাজার ডায়রিয়া রোগীর মধ্যে ইতোমধ্যে প্রায় ৪৮ হাজারই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তবে এ পরিসংখ্যান শুধুমাত্র সরকারী হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার জন্য আসা রোগীদের নিয়ে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফÍরের মতে, ডায়রিয়া চিকিৎসায় দক্ষিনাঞ্চলের ৬টি জেলায় ৪১৩টি মেডিকেল টিম সক্রিয় রয়েছে। তবে এসব টিমে কোন চিকিৎসক না থাকলেও জরুরী প্রয়োজনে চিকিৎসকগন ঐসব টিমগুলোতে সংযুক্ত হয়ে ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। এদিকে রোববার সকাল পর্যন্ত এ অঞ্চলের ৬টি জেলা ও ৪২টি উপজেলা হাসপাতাল সহ ১০ শয্যা ও ২০ শয্যার একাধিক হাসপাতালগুলোতে ১ হাজার সিসি’র প্রায় ৭৫ হাজার ব্যাগ ও ৫শ সিসি’র আরো প্রায় ৩৯ হাজার ব্যাগ আইভি স্যালাইন ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের এন্টিবায়োটিক সহ চিকিৎসা সহায়ক সরঞ্জাম মজুদ রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন