হাওরে তলিয়ে গেছে ৫ হাজার হেক্টর জমির ধান, ঝুঁকিতে ৩ লাখ হেক্টর
চরম আতঙ্কে দিন কাটছে হাওরবাসীর। এই বুঝি স্বপ্নের সোনালি ফসল পানিতে তলিয়ে যাবে এমন এক দুঃস্বপ্ন হাওর এলাকার কৃষকের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। রাতেও বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে তারা আধাপাকা ধান কেটে ঘরে তোলার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। দ্রæত ধান কেটে ঘরে তোলার জন্য প্রশাসন থেকেও মাইকিং করে বলা হচ্ছে। তবে শ্রমিক সঙ্কটে অনেক স্থানে কৃষক ধান কাটতে পারছেন না। তাই পরিবারের ছেলে বুড়ো, নারী-পুরুষ সবাই ফসল রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। এ ফসলই যে তাদের সারা বছরের খাওয়া-পরা, ছেলেমেয়ের লেখাপড়াসহ সব চলে। এ ফসল তলিয়ে গেলে তারা সর্বশান্ত হবে। ভাটি অঞ্চলের মানুষের জীবিকার অন্যতম অবলম্বন এই বোরো ধান। অনেক পরিবারের পুরো বছরের খাওয়া-খরচ, সন্তানের লেখাপড়া, চিকিৎসা আনন্দ-উৎসব সবই বোরো ধানের উপর নির্ভরশীল। ফলে তাদের কষ্টার্জিত ফসল চোখের সামনে পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আগেই তাই বাধ্য হয়ে দিনের পাশাপাশি রাতেও বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে ধান কাটছেন।
ভারতের মেঘালয়, আসাম, চেরাপুঞ্জিতে ভারি বৃষ্টির ফলে সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ এসব জেলার নদ-নদীর পানি বাড়ছে। এতে হুমকিতে পড়েছে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ। অনেক এলাকায় এরই মধ্যে বাঁধ ভেঙে হাওরে ঢুকছে পানি। তলিয়ে গেছে কৃষকের স্বপ্নের সোনালি ফসল। একের পর এক বাঁধ ভাঙছে আর ডুবছে নতুন নতুন হওরের ধান। এতে কৃষকের উদ্বেগ আর অতঙ্ক বাড়ছে। এরই মধ্যে সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনাসহ অন্যান্য এলাকায় প্রায় ৫ হাজার হেক্টর বোরো জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। শ্রমে-ঘামে ফলানো জমির ফসল তলিয়ে যেতে দেখে কান্নায় ফেটে যাচ্ছে কৃষকের হৃদয়। কৃষকের বুকফাটা দীর্ঘশ্বাসে হাওরের বাতাস ভারি হচ্ছে। সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ এলাকার কৃষকের খাওয়া নেই, নাওয়া নেই, দু’চোখে ঘুম নেই। এসব জেলার প্রায় ৩ লাখ হেক্টর জমির ধান ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। হাওরের পানি যদি আরও বাড়ে, তাহলে তাদের সব শেষ হয়ে যাবে।
ভারত থেকে আসা ঢলে যেমন ডুবছে হাওরের ফসল তেমনি কালবৈশাখি ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল। দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন জেলায় শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে আধাপাকা ধান নুইয়ে পড়েছে। এসব জমির ধান অনেক ক্ষতি হবে। এ ছাড়া শিলায় আম ও লিচুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
দিরাই (সুনামগঞ্জ) থেকে মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার জানান, দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের তারাপাশা গ্রামে হাওরে পানি প্রবেশের ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত কৃষকরা রাতের আঁধারে বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে আধাপাকা ধান কাটছেন। গ্রামবাসীর ভাষ্যমতে, গত ৭ এপ্রিল উপজেলার জারলিয়া বাঁধটি ভেঙে পানি প্রবেশ করায় ও হাওরের কৃষকদের বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এখন পর্যন্ত হাওরের ধান শতভাগ কাটার উপযুক্ত সময় হয়নি। তারপরও ভারত থেকে আসা পানি হাওরে প্রবেশ করে বোরো ধান তলিয়ে যাওয়ার ভয়ে কৃষকরা বাধ্য হয়ে রাতে বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে ধান কাটছেন।
জানা যায়, দিরাই পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন ৩১ নম্বর পিআইসিটি জারলিয়া খেয়াঘাট সংলগ্ন। ০.৪৭১ কিলোমিটার এ বাঁধে বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে ৬ লাখ ১৫ হাজার ৭১৬ টাকা ৯২ পয়সা। গত ৬ এপ্রিল বাঁধটি ভেঙে হাওরে পানি প্রবেশ করছে। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, বাঁধে মাটি কাটার পর ভালো করে দুর্মুম ও ড্রেসিং না করায় বাঁধের মাটি সঠিকভাবে বসেনি। ফলে নিচ দিয়ে পানি ছুঁইয়ে ভেতরে প্রবেশ করেছে। শেষ পর্যন্ত প্রায় ৩০০ হেক্টর বোরো জমি তলিয়ে যায় বলে জানান স্থানীয় কৃষকের।
এদিকে ভাটি এলাকার অধিকাংশ মানুষের জীবিকার অন্যতম উপায় ধান চাষ। অনেক পরিবারের পুরো বছরের খাওয়া-খরচ, সন্তানের লেখাপড়া, চিকিৎসাসহ আনন্দ-বেদনার সাথি এই বোরো ধানের উপর নির্ভরশীল। ফলে তাদের কষ্টার্জিত ফসল চোখের সামনে পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আগেই তাই বাধ্য হয়ে দিনের পাশাপাশি রাতেও বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে ধান কাটছেন। তারাপাশা গ্রামের কৃষক সাইফুদ্দিন সুফিয়ান জানান, গ্রামের উত্তরের হাওরে আমাদের জমির পাশাপাশি রাতের বেলায় বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে অন্য কৃষকরাও ধান কেটেছেন।
জানা যায়, এ পর্যন্ত দিরাইয়ের ছোট-বড় তিনটি হাওরে পানি প্রবেশ করে বোরো ধান তলিয়ে গেছে। জেলার বিভিন্ন হাওরেও আগাম বন্যার ভয়ে কপাল পুড়ছে কৃষকের, ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন এখন তলিয়ে গেছে পানির নিচে। হুড়ামন্দিরা, চাপতি, নলুয়ারপাড়ে এখন কান্নার রোল। এরই মধ্যে হাওরের বিভিন্ন পয়েন্টে পানির তোড়ে আরও ফাটল দেখা দিয়েছে। কৃষকের ঘুম নেই, নাওয়া-খাওয়া নেই। যেটুকু ফসল বাকি আছে তা বাঁচাতে রাতদিন খাঁটছে পুরো পরিবার। হাওরপাড়ের কৃষকদের এখন শুধু ভয় আর আতঙ্ক।
বাঁধ ভেঙে এর মধ্যেই চাপতি, হুরামন্দিরা হাওরের ফসল তলিয়ে গেছে। কালিয়াগুটা, বরাম, টাঙনি, উদগল, দাভাঙ্গা, বাদালিয়া, ছায়া, কাইছমা হাওরসহ ছোট-বড় হাওরগুলোতে নতুন করে ফাটল দেখা দিয়েছে। চড়া সুদে আনা টাকা দিয়ে ফলানো ফসল ঘরে তুলতে প্রাণপণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। শুধু দিনের বেলায়ই নয়, ফসল হারানোর ভয়ে অনেকে রাতেও ধান কাটছেন।
দিরাই উপজেলা কৃষি অফিস ইনকিলাবকে জানান, দিরাই উপজেলার ছোট-বড় ১০টি হাওর ও হাওর সংলগ্ন কয়েকটি হাওরে এ বছর ৩০ হাজার ১১০ হেক্টর বোরো চাষ হয়েছে। পাহাড়ি ঢলে এরই মধ্যে তলিয়ে ফসলহানি ঘটেছে, চাপতি ও হুরামন্দিরা হাওরের। কৃষি বিভাগের হিসাব মতে, ওই দুই হাওর ৩ হাজার ৮০০ হেক্টর জমির ধান সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ ধরা হয়েছে প্রায় ৬৫ কোটি টাকা। তবে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কৃষি বিভাগের দেয়া এ ক্ষয়ক্ষতির তথ্যের সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দিরাই অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী শাখা কর্মকর্তা (এসও) এ.টি.এম. মোনায়েম হোসেন জানান, গতকাল পর্যন্ত বাঁধে বড় ধরনের কোনো সমস্যা নেই। তবে সরালীতোপার বাঁধে কিছুটা ফাটল দেখা দেয়া ও কাজাউড়া গ্রামের উত্তরের পিআইসির বাইরে সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবেশ করছে। আমরা এগুলো বন্ধ করতে কাজ করছি। তিনি আরও জানান, গতকাল পর্যন্ত পানি ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে ৫.৩৫ (এমএসএল) পয়েন্টে রয়েছে।
অন্যদিকে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় নলুয়ার হাওরসহ ছোট বড় কয়েকটি হাওরের ছয়টি ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে কমপক্ষে আরও ১০ বেড়িবাঁধ। সূত্র জানায়, উপজেলার প্রধান হাওর নলুয়ার হাওরের বেতাউকা গ্রামের পাশে ১৪ নাম্বার প্রকল্প গত রোববার রাতে মাটি ধসে যাওয়া সোমবার সকাল থেকে বাঁধটি রক্ষায় কাজ চলছে। একইভাবে নলুয়ার হাওরের ডুমাইখালি এলাকার ৮ ও ৯ নাম্বার প্রকল্পের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধে রোববার রাতে ফাটল দেখা দিলে নলুয়ার হাওরে ১০ হাজার হেক্টর জমির ফসল হুমকিতে পড়ে।
জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান মজুমদার বলেন, উপজেলার ছোট বড় ১৫ হাওরে এবার ২১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। তারমধ্যে এখনো ১০-১২ হেক্টর জমির ফসল হুমকিতে রয়েছে। তবে দ্রæত ধানকাটা চলছে বলে তিনি জানান। জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম বলেন, ফাটল ও ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ রক্ষায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
সুনামগঞ্জ জেলা সংবাদদতাতা জানান, ভারতের পাহাড়ি ঢলে এ জেলার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরের নজরখালি বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে প্রায় ১২০ হেক্টর জমির বোরো ধান। বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা দিশেহারা। স্থানীয় কৃষক মোহাম্মদ আলী শেখ (৬৫) জানান, তিনি এ হাওরে ২ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছিলেন। শনিবার নজর খালি মুখের বাঁধ ভেঙে তার সমস্ত জমির ধান তলিয়ে গেছে। কাঁচা ধানগুলো পাকা হওয়ার আগেই আমাদের সব শেষ হয়ে গেল। স্থানীয় কৃষকরা জানান, সুনামগঞ্জের হাওর এলাকায় চাষ করা ধান এখনো সবুজ, কাঁচা। পাকতে আরও ১০/১২ দিন সময় নেবে। এর মধ্যেই ভারি বৃষ্টি ও ভারতের পাহাড়ি ঢলে কৃষকের স্বপ্নের সোনার ধান তলিয়ে যাচ্ছে। এতে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন যাচ্ছে কৃষকের।
নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা জানান, ভারতের পাহাড়ি ঢলের পানিতে ধনু নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী সদর ইউনিয়নের কয়েকটি হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের বাইরে নিচু এলাকার প্রায় ৫০০ একর জমির বোরো ফসল তলিয়ে গেছে। স্থানীয় কৃষকদের আশংকা, এভাবে পাহাড়ি ঢলের পানি আসতে থাকলে নদীর পানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে ফসল রক্ষা বাঁধ তলিয়ে খালিয়াজুরী উপজেলার ২১ হাজার হেক্টর জমির ফসল যে কোন সময় তলিয়ে যেতে পারে।
হবিগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, দু’দিন স্থিতিশীল থাকার পর ফের বাড়ছে ধলেশ্বরী নদীর পানি। ভারত থেকে আসা ঢলে বাড়তে থাকা পানি হাওরেও প্রবেশ করছে। ফলে হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার ৯০ হেক্টর জমির আধাপাকা বোরো ধান পুরোপুরি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় কাঁচা ও আধাপাকা মিলিয়ে জেলায় মাত্র ২৪ শতাংশ ধান কাটতে পেরেছেন কৃষকরা। এখনো ৭৬ শতাংশ ধান জমিতেই আছে। আবার পানি বাড়তে থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে অন্তত ২০০ হেক্টর ধানি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। গেল তিনদিন ধরে নদ-নদীগুলোর পানি বাড়ার ফলে নাসিরনগর সদর, ভলাকুট, বুড়িশ্বর, গোয়ালনগর, পূর্বভাগসহ অন্তত ৬টি ইউনিয়নের হাওর এলাকার জমিগুলো পানিতে তলিয়ে যায়। এর ফলে কৃষকরা তাদের আধাপাকা ধান কেটে ফেলছেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানিয়েছেন, সুনামগঞ্জ থেকে নেমে আসা ঢলে নাসিরনগরের নদ-নদীগুলোতে অন্তত ২ ফুট পানি বেড়েছে। এতে করে নদী ও বিল এলাকা সংলগ্ন জমিগুলো তলিয়ে গেছে। এতে করে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। ভলাকুটের কৃষকরা জনান, কয়েকদিন আগে শিলাবৃষ্টিতে ধানের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এবার সুনামগঞ্জের পানি এসে সব ধান ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।
নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা জানান, নওগাঁর বদলগাছীতে আকস্মিক কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মাটিতে নুয়ে পড়েছে ধান, ভুট্টা, পটল ক্ষেতসহ ভেঙে পড়েছে কলাগাছ, গাছপালা ও ঘরবাড়ি। এই কাল বৈশাখী ঝড়ে প্রায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এলাকার কৃষকদের। ফসলের এমন পরিস্থিতি দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা।
গত বুধবার ভোর রাত সাড়ে ৩টায় হঠাৎ কাল বৈশাখীর ছোবলে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে বদলগাছি উপজেলার প্রায় সকল ইউপির গাছপালা, ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষেত। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে মাঠের ফসল নিয়ে। মাঠজুড়ে রয়েছে বোরো ধান, ভুট্টা, পটল ও কলাসহ বিভিন্ন ফসলের সমারোহ। ভোর রাতে হয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে মাটির সাথে নুয়ে পড়েছে হাজার হাজার বিঘার জমির ধান।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায় মাঠের ধান গাছগুলো নুয়ে পরে আছে মাটিতে। কলাক্ষেতের কলা গাছগুলো ভেঙে ভেঙে পড়ে আছে, কোথাও কোথাও গাছপালা ভেঙে পড়ে আছে, বসতবাড়িতে ঝড়ের আঘাতে উড়ে গেছে ঘরের টিন। মাঠ ঘুরে এমন চিত্র। ধানের ফলন কমবে বলে এলাকার কৃষকরা জানান।
বদলগাছী উপজেলার কলাচাষি জলিল বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে আমার দুই বিঘা জমির কলাগাছ ভেঙে পড়েছে। এতে আমার কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে পড়া জমির কলাগাছ দেখে পরিবারের সবাই কান্নায় ভেঙে পড়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন