ঈদের শেষমূহুর্তে যশোরের চৌগাছায় পাঞ্জাবী, থ্রিপিস ও জুতার দোকানে উপচে পড়া ভিড়। ঈদকে সামনে রেখে উপজেলা সদর চৌগাছা বাজার সহ সলুয়া, পুড়াপাড়া, ধুলিয়ানী, সিংহঝুলী, হাকিমপুর, পাতিবিলা বাজার অন্য সময়ের চাইতে এবার সেজেছে রকমারী সাঁজে। গর্মেন্টস, বিপনি বিতান, থ্রিপিচঘর, দর্জিবাড়ী ও জুতার দোকান গুলোতে নানা রংঙের বাতি দিয়ে ঝলমলে আলোর ঝলকানিতে অপরুপ সাঁজে সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ঈদের বাজারে নিজের পছন্দের নতুন পাঞ্জাবী, প্যান্ড, থ্রিপিস ও জুতা সবার আগে ক্রয় করতে ভিড় করছেন সকল বয়সের মানুষ। তবে বড়দের তুলনায় ছোটমণিদের পোশাকের দোকান গুলোতে ভিড় বেশি। এদিকে দর্জি পাড়ার দোকান গুলোতে মহাব্যস্ত সময় পার করছেন র্শাট-প্যান্ট, থ্রিপিস ও পানজ্ঞাবী তৈরীতে।
শনিবার (৩০ এপ্রিল) শহরের নুরআলী সুপার মার্কেট, আব্দুল কাদের সুপার মার্কেট, লতা সুপার মার্কেট, সিটি মার্কেটসহ সপিংমল ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। মহিলা, শিশু, যুবকসহ সকল বয়সের মানুষ সবার আগে ভাল জিনিসটি ক্রয় করতে মহাব্যস্ত। ঈদের আর বেশীদেরী নেই তাই দোকানে গিয়ে পছন্দ হলেই দামা-দামী বেশী না করেই কিনছেন ক্রেতারা।
এ সময় কথা হয় ঈদের জন্য জামা-প্যান্ট ও জুতা কিনতে আসা উপজেলার গরীবপুর গ্রামের সুমনের সাথে। তিনি জানান বাড়ী থেকে ৩ হাজার টাকা নিয়ে এসেছিলাম শুধুমাত্র প্যান্টের দাম নিয়েছে ১৭শ ৫০ টাকা, শার্ট নিয়েছে ৯শ৭৫ টাকা এখন জুতা কিনা হচ্ছে না। এ দিকে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শহরের হকসুপার মার্কেট, নুর সুপার মার্কেট, কাপুড়িয়া পট্রি, লতা মিয়া মার্কেট, এ্যানিসুপার মার্কেট, নূর আলী সুপার মার্কেট, স্বর্ণপর্ট্রি মার্কেট, মৃধা সুপার মার্কেট এর শপিংমল গুলোতে প্রচুর ভিড় দেখা গেছে।
ক্রেতারা এক দোকান থেকে আর এক দোকানে ছুটছেন পছন্দের জামা-কাপড় ও জুতা কিনতে। নুর আলী সুপার মার্কেটের পুরাতন ব্যাবসায়ী পারভেজ ক্লোথষ্টোরের মালিক মান্নান জানান মেয়েদের ফোরাক জাতিয় জামা বিক্রি নেই বললেই চলে তবে বাজারের চমক ও চাহিদা বেড়েছে ভারতীয় নানা বাহারী পোষাকের। কাতান র্শাট ভারতীয় প্যান্ট, ও পাঞ্জাবীর দিকে ঝুঁকে পড়েছে তরুনরা। স্বর্ণপর্ট্রি মার্কেটের মজিদ ক্লোথষ্টোরের মালিক আব্দুল মজিদ জানান কটন, সিল্ক, তোষর ও টিটিআই কাঁপড়ের দিকে ক্রেতারা ঝুঁকে পড়েছে। এ বছর দেশী কাপড়ের পাশাপাশি বিদেশী বিভিন্ন ব্রান্ডের ছিট ক্রেতাদের নিকট জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে দাম বেশী হওয়ায় বিদেশী বিভিন্ন ব্রান্ডের ছিট ক্রেতা কিনছেন কম। শহরের তানভীর টেইলার্সের মালিক আব্দুল ধনী বলেন, ১৫দিন আগে থেকে শার্ট ও প্যান্টের অর্ডার নেওয়া নন্ধ। কারন যে অর্ডার নিয়েছি তাই তৈরী করতে রাত-দিন কাজ করেও শেষ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে চৌগাছার ঈদের বাজার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন