ময়মনসিংহের ফুলপুরে হাড় কাঁপানো শীত।শীতে কাপছে মানুষ। গত কদিন ধরে শুধু শীত নয় বরং শীতের পাশাপাশি ঠান্ডা বাতাস বইছে। গরম কাপড়ের দোকানে উপছে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে । শৈত্যপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় সর্বত্র কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে। স্থবির হয়ে পড়েছে এলাকার সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জীবনযাত্রা। খেটে খাওয়া মানুষদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কনকনে ঠান্ডায় বৃদ্ধ ও শিশুদের মাঝে ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দেয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। শীতকালিন ফসল সরিষা, গম, আলু, বেগুন, পিয়াজ, মরিচ ও বোরো ধানের বীজতলায় শীত রোগ আক্রমণের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
ময়মনসিংহের ফুলপুরে তাপমাত্রা কমে শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় শীতবস্ত্রের দোকানে ভীড় জমে উঠেছে। চাদর, জ্যাকেট, সোয়েটার, ব্লেজার, কম্বল, লেপ-তোষকসহ গরম কাপড় কেনার ধুম পড়েছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েক দিন ধরেই হালকা শীত পড়ার পর গরম কাপড় কেনাবেচা শুরু হয়। কয়েকদিন যাবৎ শৈত্যপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় গরম কাপড় বিক্রি বেড়ে গেছে। এ ছাড়াও ছোট-বড় মার্কেট কম্বল, জ্যাকেট, সোয়েটার, শাল, হাতমোজা ও কানটুপিসহ বিভিন্ন ধরনের গরম কাপড় বিক্রি কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় দোকানিরা বেশ খুশি। বাজার ঘুরে ক্রেতাদের প্রচুর ভিড় দেখা গেছে।
ফুলপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আঞ্জুমান সুপার মার্কেটের সামনে সরেজমিন গিয়ে কথা হয় শীতবস্ত্র কিনতে আসা জামাল হোসেন নামে একজনের সাথে। তিনি বলেন, সকালে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম। এখন আবার বাড়ি ফিরতে রাত্র হয়ে যাবে। যেভাবে বাতাস বইছে শীতের কাপড় ছাড়া কোনভাবেই বাড়ি যাওয়া সম্ভব নয়। তাই একটা শীতবস্ত্র কিনতে এসেছি। জামালের মত আরও অনেককেই তখন শীতবস্ত্রের দোকানে ভীড় করতে দেখা গেছে। আঞ্জুমান সুপার মার্কেটের সামনে শীতবস্ত্র বিক্রেতা রুবেল ও আব্দুল জলিল জানান, গত কদিন ধরে প্রচুর কাস্টমার আসছে। আলহামদুলিল্লাহ, ব্যবসা জমে উঠেছে। দোয়া করবেন। বেঁচা বিক্রি ভাল হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন