শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ছুটির দিনে খুলনার পর্যটন স্পটগুলোতে ভিড়

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৫ জুলাই, ২০২২, ৭:১৬ পিএম

খুলনা মহানগরীর ভৈরব নদের ৫ নং ঘাট এলাকা


ঈদের ছুটির আমেজ এখনও শেষ হয়নি। কোরবানির ঈদে নানা কারণে যারা পরিবার পরিজন নিয়ে খুব একটা ঘোরাফেরা করতে পারেননি, সাপ্তাহিক ছুটির দিন আজ শুক্রবার বিকালে যেন তারা সবাই বের হয়েছিলেন। আর তাই খুলনার পর্যটন স্পটগুলোতে এ সপ্তাহের সবচেয়ে বেশি ভিড় আজ লক্ষ্য করা গেছে।

তবে এবার নগরবাসীর বিনোদন ও ঘোরাফেরার বিষয়ে ব্যতিক্রম একটি বিষয় দেখা গেছে। তা হচ্ছে, প্রচলিত বিনোদন কেন্দ্র, পার্ক বা রিসোর্ট গুলোতে যাওয়ার পাশাপাশি তাদের বড় একটি অংশ মুক্ত বাতাসে প্রাকৃতিক দৃষ্টিনন্দন জায়গাগুলোতেই ভিড় করছেন ও সময় কাটাচ্ছেন। এ জন্য তারা বেছে নিচ্ছেন, সমাপ্ত প্রায় খুলনা-মোংলা রেললাইন এলাকা, খুলনা শহরের বাইপাস রোড এলাকা, বটিয়াঘাটা-কাতিয়ানাংলা এলাকার বিস্তীর্ণ নদীর পার, চরেরহাট নদীর পাড় প্রভৃতি স্থানগুলোকে। চরেরহাট, জেলখানা ঘাট ও রূপসাঘাট থেকে ঘন্টায় তিনশ’ টাকা করে নৌকা ভাড়া নিয়ে অনেকেই রূপসা ও ভৈরব নদীর বুকে ঘুরছেন। অন্যদিকে, চরেরহাট এলাকায় নৌকা ভাড়া নিয়ে আতাই নদীতে ঘুরছেন।
নগরীর ৫ নং লঞ্চঘাটে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা সংবাদ কর্মী শেখ হারুনুর রশিদ বলেন, কোরবানির ঈদে দু তিন দিন আসলে বের হওয়া যায় না। হাটে গরু ছাগল কেনা, কোরবানি, গোশত বিলি বন্টনেই সময় চলে যায়। তাই আজ পরিবার নিয়ে এসেছি। তিনি জানালেন, মহানগরী ও আশেপাশের রেস্তোরা ও পার্কগুলো এখন কানায় কানায় ভর্তি। অতো জনসমাগম ব্যক্তিগতভাবে আমার ভাল লাগে না। এ জায়গাটা কোলাহলমুক্ত, পাশেই ভৈরব নদী, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে অপরুপ। তাই এখানে এসেছি। জেলার বটিয়াঘাটায় কাজিবাছা নদীর পাড়ে শহর থেকে যাওয়া তরুণ ইশতিয়াক দম্পত্তি জানান, এ জায়গাটায় সব সময় আসি। সুন্দরবনের অনেক গাছপালা এখানে নদীর পাড় দিয়ে রয়েছে। আগে খুব একটা জন সমাগম এখানে ছিল না। এবার দেখছি অনেকেই আসছেন। নগরীর মাথাভাঙ্গা নামক এলাকায় প্রায় সমাপ্ত খুলনা-মোংলা রেললাইনের উপর অনেকেকেই দেখা গেছে। আড্ডা এবং সেলফি তুলে তারা সময় পার করছেন।
মহানগরীর শহীদ হাদিস পার্কে দেখা গেছে, শহীদ মিনারের পাদদেশে অনেকেই বসে সময় কাটাচ্ছেন, আড্ডা দিচ্ছেন। ছুটির দিন তাই পুরো পার্ক মোটামুটি ভরা। তবে এ পার্কে বিনোদনের কোন ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। লেকের পাড়ে কয়েকটি বেঞ্চ বসানো রয়েছে। বখাটেদের উপদ্রব রয়েছে বলে অনেকেই অভিযোগ করে থাকেন। পার্কে আসা অনেকেই পার্কটিতে ধূমপান নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি জানান।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন