শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

আ.লীগের নেতারা উন্মাদ হয়ে গেছে: নুর

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ মে, ২০২২, ১০:২৪ পিএম

জনগণ রাস্তায় নামলে এই সরকারকে হটাতে এক সপ্তাহ লাগবে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুলহক নুর। তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে বলতে চাই- ‘গাছে কাঁঠাল গোফে তেল’ এই অভ্যাস পরিহার করুন। বিদেশিরা কখনো ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়ে যাবে না। ক্ষমতায় বসতে চাইলে এ দেশের জনগণকে নিয়ে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। জনগণ রাস্তায় নামলেই সরকারকে হটাতে একমাস বা এক বছর নয়, মাত্র এক সপ্তাহ লাগবে।

শুক্রবার (২০ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতি ও রাজনৈতিক নেতাদের ওপর হামলা এবং হুমকির প্রতিবাদে বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

নুর বলেন, ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত হয়ে ভালো ছাত্ররাও মাদকাসক্ত ও খুনি হয়ে যায়। এরা নিজের দলের লোককেও খুন করে। বাংলাদেশের এ কর্তৃত্ববাদ সরকার যদি আরও এক মেয়াদ থাকে, তাহলে বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা উন্মাদ হয়ে গেছেন। তাই তারা ড. রেজা কিবরিয়ার বাবা শাহ এএমএস কিবরিয়ারকে বাজে কথা বলছেন। যিনি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন ও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার জন্য কাজ করেছেন।

ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, এ সরকার ড. ইউনুসের মতো সম্মানিত ব্যক্তিকে কীভাবে অপমান করেছে আমরা তা দেখেছি। রিজার্ভ নিয়ে সরকার যে হিসাব দিচ্ছে তা প্রকৃত হিসাব নয়, সেখানে অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে।

গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব আতাউল্লাহ বলেন, সবকিছুর দাম বাড়ছে। মানুষ ক্ষুধা ও দারিদ্রের সঙ্গে সংগ্রাম করছে। দেশে ফেরাউনের নীতিতে শাসন হচ্ছে। জালিম শাসক তার জুলুমের মসনদ টিকিয়ে রাখতে প্রতিবাদী মানুষকে ডুবিয়ে মারতে চায়। শ্রীলঙ্কার রাজাপাকসে জনগণকে ডুবিয়ে মারতে চেয়ে উল্টো ঘটনা ঘটেছে।

গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হানিফ বলেন, ড. রেজা কিবরিয়া ও নুরুলহক নুরের নেতৃত্বে গণঅধিকার পরিষদের উত্থানকে সরকার ভয় পায়। এজন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে।

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা তো বলেছেন- পদ্মা নদীতে চুবাবেন। জনগণ সুযোগ পেলে আপনাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বুড়িগঙ্গা নদীতে চুবাবো। কারণ বুড়িগঙ্গার পানিতে ময়লা বেশি। ২০১৪ সাল কিংবা ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতো নির্বাচন আর হতে দেবে না গণঅধিকার পরিষদ।

বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক জাফর মাহমুদ বলেন, এ সরকারের দুই গুণ, দুর্নীতি আর মানুষ খুন। সরকারের সব শরীরে ক্যানসার ধরেছে। এ সরকার মানুষের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার , কথার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। সবাইকে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- গণঅধিকার পরিষদ যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন, সাদ্দাম হোসেন, শাকিল জামান, যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুজ জাহের ও সহকারী সদস্য সচিব ফাতেমা তাসনিম, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রিজওয়ান রুপ দীনেশ ও ইঞ্জিনিয়ার জাহিদুল আলম প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
ম নাছিরউদ্দীন শাহ ২১ মে, ২০২২, ১০:৫৯ এএম says : 0
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব‍্যাক্তি কাদের বুঝানো হয়।রাষ্ট্রের বিরোধীদল কারা? রিজার্ভের জন্যে চিন্তা নাকি রিজার্ভ ধ্বংস হওয়ার চিন্তা? বুঝা কষ্টের। দেশের চিন্তা না দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের চিন্তা বুঝা বড় মসকিল। ডক্টর ইউনুছ হিলারিকে দিয়ে অত্যন্ত গোপনে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধাসেতু প্রকল্প বাতিল করতে ষড়যন্ত্রকারীদের একজন এটি শতভাগ সত্যি। ডক্টর ইউনুছ সুদের মহাজন সুদের উপর গবেষণায় আন্তর্জাতিক ভাবে খ‍্যাতি অর্জন করেছেন। বাংলাদেশ নির্মবৃত্ত মানুষের কে সুদের সাগরে ভাসিয়েছেন। ইসলাম সুদকে হারাম করেছেন।পশ্চিমারা দেখলো বুঝতে পারলো আমাদের চায়তে বড় ইবলিশমুসলমান দের মধ্যে পাওয়া গেছে জ্ঞানে গুনে সুদের ব‍্যবসা কে হালাল করেছেন। তাকেই এই কাজের আন্তর্জাতিক সম্মান মর্যাদা ও সম্মান দিলেন নোবেল শান্তি পুরুস্কার। ডক্টর ইউনুছকি দেশের দশ ভাগের একভাগ রক্তাক্ত জনপদ প্রতিদিনই শিরোনাম ছিল শান্তি বাহিনীর আক্রমণ নিহত আহত সেনাবাহিনীর সৈনিকরা দেশের সাধারণ মানুষ ও পাহাড়িরা। ঐখানে শান্তি প্রতিষ্টা করে ছিল? তার জন্যে শান্তিতে পুরুস্কার।মোটেও না। দশলক্ষ ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত কিয়ামতের বিভীষিকাময় পরিস্থিতির বার্মার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী জীবন বাচানো আশ্রয়ের ব‍্যবস্থা বাংলাদেশ করেছিল। ঐখানে ডক্টর ইউনুছকি শান্তি প্রতিষ্টা করে ছিলো? বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে দেশে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসনীয় কাজের সম্মান দিয়ে বিশ্ব মানবতার মা ঘোষণা দিয়ে এইদেশ কে সম্মানীত করেছেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এই দুটি কাজ করেছিল জীবন্ত কিংবদন্তি মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর দায়িত্ব নোবেল কমিটির শান্তিতে পুরুস্কার দেওয়া। অথচ ডক্টর ইউনুছের সুদের অর্থনীতি প্রদান‍্য পেল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারেক ওবামার নোবেল শান্তি পুরুস্কার যুক্তি বা পরিসংখ্যান কি। পৃথিবীর কি শান্তি প্রতিষ্টা করেছেন???বাংলাদেশের অর্থনীতি উন্নয়ন অগ্রগতি মানবতার কল‍্যানে বিশালাকার অবদান লক্ষ হাজারো হাজার মানুষের জীবন বাচানো অর্থদাতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক কিছু ষড়যন্ত্রকারী দেশের কিছু ষড়যন্ত্র চক্রান্তকারীদের কারণে শতভাগ নিশ্চিত নোবেল প্রাইজ থেকে বঞ্চিত হলো।এটি সত্য। দেশের অর্থনীতি নিয়ে নুরুদের মন্তব্য শুনবো। নাকি???অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা আইএমএফ বিশ্বব‍্যাংক এডিবির রিপোর্টের কথা শুনবো অর্থনীতি স্থিতিশীল স্বাভাবিক আছে। রিজার্ভের টাকা আকুর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়। বিশ্বে জিনিস পত্রের ক্রমবর্ধমান মূল্য বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের এইসামুযিক পরিস্থিতি। এটি শ্রীলঙ্কা বানিয়ে পেলছেন বাংলাদেশ এরনাবালক রাজনৈতিক নেতারা। এটি দুঃখজনক শিরোনাম। চলবে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন