দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলা ইউএনও কার্যালয়ের সুপরিচিত সবার চেনা মুখ আব্দুল মজিদ ভাই চলে গেলেন। তার চলে যাওয়া হত্যাকান্ড নাকি সাধারণ মৃত্যু এই নিয়ে নানা মতপথের গুঞ্জন উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, কিছু লোক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ডেকে নিয়ে শনিবার রাতের বেলা টেকসর হাটে নানা কথপোকথনের পর পার্বতীপুর-বদরগঞ্জ সড়কের নিরাপদ কোন স্থানে নিয়ে তাকে আঘাত করে এতে সে মুমুর্ষ হয়ে পড়লে বদরগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা যায়, পার্বতীপুর উপজেলার তকেয়া পাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে সুদীর্ঘদিন যাবত পার্বতীপুর উপজেলা ইউএনও অফিসে ডিলিংস ক্লার্কে চাকুরী করেছেন। তার সর্বশেষ চাকুরীস্থল ছিল বিরামপুর উপজেলা ইউএনও কার্যালয়ে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুর্বৃত্তরা সুকৌশলে তাকে হত্যার শিকার করেছে বলে অনেকের দাবী। মৃত্যুকালে তিনি ১ ছেলে ২ মেয়ে ও স্ত্রী রেখে গেছেন। বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, গতকাল রাত পৌনে ৯ টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগ থেকে একটি ফোন কল পাই। এরপর হাসপাতালে ছুটে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিহত বা মৃতের সঠিক কারন জানতে আমরা লাশ ময়না তদন্তে পাঠিয়েছি। যেহেতু তিনি সরকারি চাকুরী করতেন। এ সংবাদ পাঠানো পর্যন্ত নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের পর নিজ গ্রামের বাড়ীতে তাকে আজ রবিবার রাতের যেকোন সময় দাফন করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন