শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বিশ্ববাজারে কমলেও প্রভাব নেই দেশে

ভোজ্যতেলের দাম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০২২, ১২:০৩ এএম

আন্তর্জাতিক বাজারে কিছুটা কমেছে ভোজ্যতেলের দাম। তবে এর কোন প্রভাব পড়েনি দেশের বাজারে। আগের বর্ধিত দরেই বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন ও পাম তেল। আমদানিকারকদের দাবি, বিশ্ববাজারে তেলের দাম সামান্য কমলেও ডলারের দাম বেড়েছে। ফলে আমদানি ব্যয় সেই আগের মতোই রয়ে গেছে। সে কারণে দেশের বাজারে দাম কমানো যাচ্ছে না।

গত মার্চে বিশ্ববাজারে রেকর্ড গড়ে সয়াবিনের দাম টনপ্রতি প্রায় দুই হাজার ডলারে উঠে যায়। তবে এখন ধীরে ধীরে কমছে। চলতি সপ্তাহে দাম কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৬০ ডলারে। তবে দেশের বাজারে এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে না।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খোলা সয়াবিন তেল আগের মতোই ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ১৯৮ টাকা। আর পাঁচ লিটারের বোতল ৯৭৫ থেকে ৯৮০ টাকায়। যদিও সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে পাম অয়েলের দাম খানিকটা কমেছে। লিটারে পাঁচ থেকে সাত টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায়।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মোস্তফা হায়দার বলেন, বিশ্ববাজারে দাম খুব একটা কমেনি। যদি সামান্য কিছু কমেও থাকে, তাহলে আমদানিতে তার প্রভাব এখনই পড়বে না। কারণ দেশে ডলারের দাম বেড়ে গেছে। এ ছাড়া এই দামের সঙ্গে জাহাজ ভাড়াসহ আনুষঙ্গিক খরচ যুক্ত হয়। তবে ভোজ্যতেলের দাম বিশ্ববাজারে কমে এলে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে দেশের বাজারে দাম পুনর্নিধারণের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানান তিনি।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৯ সালে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের গড় মূল্য ছিল টনপ্রতি ৭৬৫ ডলার। ২০২০ সালে দাম ছিল ৮৩৮ ডলার এবং ২০২১ সালে সয়াবিনের টনপ্রতি দাম ছিল এক হাজার ৩৮৫ ডলার। কিন্তু চলতি বছরের মার্চে এক পর্যায়ে তা বেড়ে এক হাজার ৯৫৭ ডলারে উঠে যায়। তবে চলতি মাসে কমতে শুরু করে সয়াবিনের বুকিং দর।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন