লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের নুড়ি গাছতলা এলাকায় মোটরসাইকেল সাইড না দেওয়ায় রাস্তায় ফেলে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তার স্বামীকে লোহার রড এবং লাঠি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ইমন হোসেন নামের এক বখাটের বিরুদ্ধে।
অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ নাছিমা আক্তার সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের বাইশমারা ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট শাখার অফিস সহকারী। নাছিমা-সালাহ উদ্দিন দম্পতি একই ইউনিয়নের পশ্চিম সহিদপুর গ্রামের বাসিন্দা। আহত স্বামী-স্ত্রী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযুক্ত ইমন পৌরসভার লাহারকান্দি এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে ও ১২ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী।
আহতরা জানান, মঙ্গলবার (৭ জুন) বিকেলে বিকেলে কর্মস্থল থেকে নাছিমাকে নিয়ে স্বামী সালাহ উদ্দিন মোটরাসাইকেলযোগে বাড়িতে ফিরছিলেন। বাইশমারা এলাকায় বিপরীত দিক থেকে ইমনও মোটরসাইকেলযোগে আসছিল। এ সময় তাকে সাইড না দেওয়ায় সালাহ উদ্দিনের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করেন। এক পর্যায়ে ইমন তাকে কয়েকটি কিল-ঘুষিও মারে। পরে আশপাশের লোকজন এসে ঝগড়া থামিয়ে মীমাংসা করে দেয়। এতে ইমন শান্ত না হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে।
সেখান থেকে বাড়ির উদ্দেশে যাওয়ার পথে ইমন মোটরসাইকেল নিয়ে তাদের তাড়া করে। পরে লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের নুড়ি গাছতলা এলাকায় গিয়ে তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এ সময় ইমন ও তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন কিশোর তাদের ওপর হামলা করে। মুহূর্তেই তাদের রাস্তায় ফেলে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়।
নাছিমা আক্তার বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় আমাদের ওপর অমানবিক নির্যাতন করেছে। আমি শরীরে মারাত্মক ব্যাথা পেয়েছি। স্বামীর হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ জখম হয়েছে। হামলাকারীরা আমার ব্যাগ থেকে ৬৮ হাজার টাকা, এক জোড়া কানের দুল ও গলার চেইন নিয়ে গেছে।
এবিষয়ে জানত চেষ্টা করেও ইমন হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল বলেন, ঘটনাটি নিয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ ফেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন