পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর সব রকম পলিথিন ব্যাগ, প্লাস্টিক ব্যাগ (ওভেন প্লাস্টিক ব্যাগসহ), মোড়ক এসব সামগ্রীর ওপর বিদ্যমান ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর ফলে দেশে পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যাগ ও অন্যান্য সামগ্রীর দাম কমবে। এতে পলিথিনের ব্যবহার আরও বাড়বে। যাতে পরিবেশ দূষণ আরও বাড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
শুল্ক কমানোর ফলে দেশের বাইরে থেকেও পলিথিন এবং মোড়ক জাতীয় দ্রব্য আমদানি বৃদ্ধি পাবে। যদিও এর আগে সরকার পলিথিনের ব্যবহার সীমিত করার উদ্যোগ নিয়েছিল। সেখানে পলিথিনের ব্যবহার একবারে বন্ধ করার উদ্যোগ নানা সময়ে নিতে দেখা গেছে। সে সব উদ্যোগ খুব একটা ফলপ্রসূ না হলেও নিষিদ্ধ হওয়াতে পলিথিন ব্যবহারে মানুষের মধ্যে কিছুটা ভয় বা সংকোচ ছিল।
প্লাস্টিকের দূষণরোধে সোচ্চার বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) নেতা শরিফ জামিল বলেন, সরকার ২০২১ সালে গ্যাজেট করেছে, সেই গ্যাজেটে ২০২৩ সালের প্লাস্টিক ও পলিথিন উৎপাদন ও বিপনন বন্ধ হওয়ার কথা। অর্থাৎ পলিথিন বিক্রি, ব্যবহার ও আমদানি বন্ধ করার কথা। বাংলাদেশ হচ্ছে প্রথম কোনও দেশ যেখানে পলিথিন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পলিথিন নিষিদ্ধ করায় আমরা আশান্বিত হয়েছিলাম। কিন্তু সরকারের আন্তরিকতার অভাবে সেটা আজও বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। পলিথিনের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। দেশের নদী মাটি সব গিলে খাচ্ছে সর্বনাশা পলিথিন। এ অবস্থায় বাজেটে অর্থমন্ত্রীর শুল্ক অব্যাহতির প্রস্তাব দুঃখজনক। সরকারের উচিত ছিল সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
তিনি বলেন, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ করেছে। তারা ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ যদি বিষয়টিকে উৎসাহিত করে তাহলে বাংলাদেশ ওয়াস্ট হাব হয়ে যেতে পারে। যদিও আমাদের এখনকার গ্যাজেটে আমদানি-রফতানি দুটোই নিষিদ্ধ। কিন্তু উৎসাহিত করলে বেআইনিভাবে এই সর্বনাশা আবর্জনা আসতে শুরু করবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন