চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে বেসরকারি বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুন ও বিস্ফোরণে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দরা। অনেকে চোখের সমস্যায় ভুগছেন। চোখ লাল হয়ে যাওয়া, পানি পড়া, চুলকানিসহ নানা জটিলতায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন তাদের অনেকের চোখে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাদের কয়েকজন ফের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ইতোমধ্যে ঢাকা থেকে আসা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে বেশিরভাগের চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসা নিতে হবে। মূলত রাসায়নিক বিস্ফোরণের কারণে এমন জটিলতা দেখা দিয়েছে।
এদিকে আহতদের পাশাপাশি স্থানীয় গ্রামবাসীর মধ্যে নানা শারিরীক সমস্যা দেখা দেয়ায় সর্বত্র উদ্বেগ উৎকন্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষ টিম ঘটনাস্থল বিএম ডিপো পরিদর্শন করে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক (পরিকল্পনা) ডা. নাজমুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের টিম বেলা ১১টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ঘটনার পরবর্তী অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের উপ-পরিচালক ডা. মো. সফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন মো. ইলিয়াছ চৌধুরী, মেডিকেলের কিডনি বিশেষজ্ঞ এনামুল হক শামীম, ডিএনসিসি ডেডিকেডেট কোভিড হাসপাতালের পরিচালক লেফটেনেন্ট কর্ণেল মো. মশিউর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ডা. অনিন্দিতা শবনম কোরেশীসহ টিমের অন্যান্য সদস্যরা। স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক (পরিকল্পনা) ডা. মো. নাজমুল ইসলাম উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, বিএম ডিপোতে রাসায়নিক বিস্ফোরণে কী ধরণের স্বাস্থ্যঝুঁকি হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে এসেছি আমরা। এছাড়া এই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়া রোগীরা চমেকে কিভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন তাও দেখেছি।
এদিকে গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ ও বাংলাদেশ রসায়ন শিল্প সংস্থার আলাদা দল। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন নমুনা ও আলামত সংগ্রহ করেছে। সিআইডির তদন্ত দলের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তরল পদার্থ এবং পুড়ে যাওয়া বস্তুর পোড়া অংশের আলামত ও নমুনা সংগ্রহ করেন। সিআইডির বিশেষ সুপার মো. শাহনেওয়াজ খালেদ বলেন, বিএম কন্টেইনার ডিপো থেকে বিভিন্ন আলামত ও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। তারপর সেখান থেকে আসা ফলাফলের ভিত্তিতে তদন্ত চলবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন