গতকাল ছিল শুক্রবার। ভারতে শাসক দলীয় দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের দ্বারা নবী করিম (সা.) এর বিরুদ্ধে কটুক্তির প্রতিবাদ শুরু হওয়ার পর প্রথম জুমা। গত কয়েকদিন যাবত মক্কা ও মদীনার পবিত্র দুই মসজিদে নির্ধারিত ইমামগণ ফজর ও ইশার নামাজে নবী করিম (সা.) এর শান, মর্যাদা এবং তার শত্রুদের পরিণতি সম্পর্কিত সূরা ও আয়াতসমূহ পাঠ করছেন। মক্কায় নামাজ আদায়কারী বাংলাদেশী উলামায়ে কেরাম সূত্রে ফজর ও ইশার নামাজে পড়া সূরাগুলো সম্পর্কে জানা গেছে।
গতকাল কুয়েত, কাতার ও বাহরাইনের ধর্ম ও আওকাফ বিভাগের পক্ষ থেকে জুমার খুতবায় নবী (সা.) এর শান, মর্যাদা, তার প্রতি ঈমানদারের ভালোবাসা এবং তার শত্রুদের পরণতি সম্পর্কে আলোচনার সার্কুলার জারী করা হয়। কাতার আওকাফের পত্রটি সেখানকার বাংলাদেশী আলেমগণ আগের রাতেই পোস্ট করে দেন। সংবাদ নিয়ে জানা গেছে মরক্কোর রাবাত থেকে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা পর্যন্ত মুসলিম বিশে^ গতকাল জুমার আলোচনা ছিল একই বিষয় ঘিরে। অনলাইনে মাধ্যমে দেখা গেছে মিশরের আল আযহার প্রধান মসজিদের খুতবা এবং মুসলমানদের পবিত্র বড় দুই মসজিদের জুমার আলোচনা ও দোয়ায় কাছাকাছি বিষয় ছিল।
তুরস্ক, পাকিস্তান ও মালয়েশিয়ার প্রবাসী বাংলাদেশীরা এ ধরণের খুতবা দোয়া ও আলোচনার কথা জানান। বাংলাদেশে রাজধানী ঢাকা, বিভাগীয় শহর, জেলা, উপজেলা ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে জুমার আলোচনা ছিল একই বিষয়ের ওপর। সারা দেশে জুমার পর নজিরবিহীন ব্যাপক মিছিল ও প্রতিবাদ শোভাযাত্রা বের হয়। গত কয়েকদিন ধরেই মিছিল মানববন্ধন ইত্যাদির দ্বারা অব্যাহত ছিল।
নবী করিম (সা.) কে নিজের জীবন, সম্পদ, সম্মান, পিতা-পুত্র ও অন্যসব মানুষের চেয়ে বেশি ভালোবাসা ঈমানের পরিপূর্ণতার পূর্ব শর্ত। নবী (সা.) এর দুষমনদের মোকাবেলা আল্লাহ নিজেই সময়মতো সফল করে থাকেন। নবী করিম (সা.) এর শান, মর্যাদা ও মিশনকে পূর্ণাঙ্গতা প্রদান করার জিম্মাদার স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা। বাংলাদেশসহ সারা মুসলিম বিশে^ গতকাল জুমা, খুতবা, কেরাত, দোয়া এবং বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ ছিল নবীজির ভালোবাসায় বিশ^ মুসলিম উম্মাহর অনন্য ঐক্যের দৃষ্টান্ত। নবীজির ভালোবাসায় সব দেশ, ভাষা ও বর্ণের মুসলমান এক হতে পেরেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন