বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শিক্ষাঙ্গন

ইবিতে ছাত্র হলের সিট বরাদ্দের নোটিস ছাত্রী হলে, সমালোচনার ঝড়!

ইবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০২২, ২:৩৯ পিএম

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) তিনটি ছাত্রী হলে ঝুলছে ছাত্র হলে সিট বরাদ্দ দেওয়ার নোটিস। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গ্রুপে এক ছাত্রী স্ট্যাটাস দেওয়ার পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৯ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে শিক্ষার্থীদের আবাসিক সিট বরাদ্দের জন্য নোটিস দেওয়া হয়। সেই নোটিস বিভিন্ন ছাত্র হলে ঝুলানোর পাশাপাশি তিনটি ছাত্রী হলের (দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল ও খালেদা জিয়া হল) নোটিসবোর্ডেও ঝুলানো হয়েছে। কী কারণে ছাত্রী হল গুলোতে ঝুলানো হয়েছে এমন প্রশ্ন ছাত্রীদেরও।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শেখ হাসিনা হলের এক আবাসিক ছাত্রী বলেন, আমাদের হলে তো কোনো ছাত্র থাকে না। বঙ্গবন্ধু হলের এলটমেন্টের নোটিস আমাদের হলে দেওয়ার কারণ বুঝলাম না। বিষয়টি অদ্ভুদ লেগেছে।

বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মাহবুবুল আরেফিন স্বাক্ষরিত সেই নোটিসে বলা হয়েছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল শিক্ষার্থীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, হলের দেশীয় ও আন্তজার্তিক উভয় ব্লকে নতুন সিট বরাদ্দ দেওয়া হবে। আগ্রহী ছাত্রদের ১০০টাকা হল রসিদের মাধ্যমে অগ্রণী ব্যাংক ইবি শাখায় জমা দিয়ে অফিস থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। আবেদন পত্র ১২ জুন থেকে ২২ জুনের মধ্যে সংগ্রহ ও জমা দিতে হবে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গ্রুপে এক ছাত্রী স্ট্যাটাস দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করেছেন শিক্ষার্থীরা। রুমানা ইসলাম নামে এক ছাত্রী মজার ছলে এক কমেন্টে লিখেছেন, ফজিলা হল বাসী আপনারা আপনাদের জীবনসঙ্গীদের নোটিশ সম্পর্কে অবগত করুন। এটার জন্যই এখানে নোটিস দেওয়া।

খালেদা জিয়া হলের এক আবাসিক ছাত্রী বলেন, ছাত্রী হলের নোটিস বোর্ডে ছাত্র হলের এলটমেন্টের নোটিস দেখে অবাক হয়েছি। বিষয়টি আশ্চর্য। হাস্যকরও বটে।

বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মিয়া মো. রাশিদুজ্জামান বলেন, হলে সিট বরাদ্দের নোটিস সব অফিসেই পাঠাতে হয়। তাই হয়তো ভুল করে এই হলেও দেওয়া হয়েছে। নোটিসটা আমাকে না দেখিয়েই ঝুলানো হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন