ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে দ্বিতীয় দফায়
শেরপুরের ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদী উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের অন্তত
৮০গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে ৫০ হাজারেরও বেশি পানি।
এদিকে পাহাড়ী ঢলে প্লাবিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের কাছে পৌঁছায়নি
সহায়তা। ধ্বংসযজ্ঞে দিন কাটাচ্ছে ক্ষতিগ্রস্থরা। এ পর্যন্ত ঝিনাইগাতীতে
২জন ও নালিতাবাড়ীতে ১ জনসহ ৩জনের মৃত্যু হয়েছে।
নদীর বাঁধ ভেঙে ভেসে গেছে ঘর, আসবাবপত্র, মুরগীর খামার। শুকনো খাবারের
অভাবে শিশু ও বৃদ্ধদের নিয়ে বিপাকে প্লাবিত এলাকার মানুষ।
রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ কালভার্ট ভেঙে গেছে। ভেসে গেছে মাছের প্রজেক্টের
পুকুর, পানির নীচে তলিয়ে গেছে সবজির ক্ষেতের আবাদ।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় চলছে চরম দুর্ভোগ।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিতরণের জন্য ৬০ মেট্রিকটন চাল, তিন লক্ষ টাকা,
১৫শ শুকনো খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় বিতরণের জন্য জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে বিতরণ
করা হয়েছে। আজ দুপুরে শেরপুরের জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার বন্যা
দূর্গতএলাকা পরিদর্শন করেন। পরে তিনি ঝিনাইগাতী দীঘির পাড় এলাকায়
ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা এ দূর্যোগ মোকাবেলায় সজাগ এবং কার্যক্রম
শুরু করেছি। এবং পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন