শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পরকীয়ায় লিপ্ত মা শতবর্ষী বাবা করেছেন ৬ বিয়ে

হাইকোর্টের দ্বারস্থ ‘লন্ডনি কন্যা’

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০২২, ১২:০১ এএম

পরকীয়ায় লিপ্ত মা। শতবর্ষী বাবা বিয়ে করেছেন ৬টি। জন্মসূত্রে বৃটিশ নাগরিক কিশোরীকে (১৫) এখন পাত্রস্থ করে ‘স্বার্থ উদ্ধার’ করতে চান মা। এমন অভিযোগ তুলে বিয়েতে অসম্মতি জানাচ্ছেন সেই কিশোরী। প্রতিকার চাইতে দ্বারস্থ হয়েছেন হাইকোর্টের। আদালতকে জানিয়েছেন, তিনি বাংলাদেশে বসবাসকারী মায়ের সঙ্গে থাকতে চান না। ফিরে যেতে চান লন্ডন। তবে এ বিষয়ে আইনি প্রতিকার চাইতে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এবং বিচারপতি সাহেদ নূরউদ্দিনের ডিভিশন বেঞ্চে আজ (রোববার) আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ কথা জানিয়েছেন কিশোরীর কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট পূর্ণিমা জাহান।

এই আইনজীবী আরো জানান, সিলেটের ওসমানী নগরের ১৫ বছরের এক কিশোরীকে তার মা জোর করে বিয়ে দিতে চান। এ কারণে তিনি উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। ওই কিশোরী ব্রিটিশ ও বাংলাদেশি নাগরিক। কিশোরী আর মায়ের কাছে থাকতে চান না। ইংল্যান্ড ফিরে যেতে চান।
পূর্ণিমা জাহান সাংবাদিকদের জানান, মেয়েটির বয়স ১৫ বছর। এখনো স্কুলে পড়ে। তার মা চাইছেন এখনই বিয়ে দিতে। কিশোরী তাতে রাজি নন। এ কারণে মেয়েটিকে তার মা বেশ মারধর করেন। তখন সে বাসা থেকে পালিয়ে তার মেয়ে বন্ধুর বাসায় আশ্রয় নেন। পরে মেয়েটির মা তার বান্ধবীর মা-সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মায়ের কাছ থেকে পালিয়ে আসা কিশোরী জানান, তার বাবা সিলেটের ওসমানী নগরের বাসিন্দা। তিনি বৃটিশ নাগরিকও বটে। শতবর্ষী বাবা বিয়ে করেছেন ৬টি। কিশোরী তার সর্বকনিষ্ঠ স্ত্রীর সন্তান। বাবা বৃটিশ নাগরিক হওয়ায় জন্মসূত্রে কিশোরীও বৃটিশ নাগরিক। জন্মের পর থেকে কিশোরী ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশে যাওয়া-আসার মধ্যে ছিলেন। কিশোরী ও তার আইনজীবীর দাবি, তার মা এক আত্মীয়র সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত। কিশোরীকে বিয়ে দিয়ে তার মা লাভবান হতে চান। কিশোরী কনোভাবেই তার মার কাছে ফেরত যাবেন না। মায়ের সঙ্গে থাকাটা নিরাপদ মনে করছেন না।

পূর্ণিমা জাহান বলেন, গত সপ্তাহে লন্ডন লোয়ার কোর্ট অব জাস্টিস বাংলাদেশের বৃটিশ হাই কমিশনকে অনুরোধ করেছেন কিশোরীর বিষয়টি বাংলাদেশের আদালতে নজরে আনার। মেয়েটিকে ইংল্যান্ডে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেছেন। লন্ডনের কনসার্ন অথরিটি যারা বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ নিয়ে কাজ করে তারা বেশকিছু অর্ডার সেখানকার আদালত থেকে নিয়েছেন। কিন্তু কিশোরীর বয়স মাত্র ১৫ বছর। সে এখনো ছোট। তাই ওখানে অনেকগুলো ব্যপার রয়েছে। তার কাস্টডি কে নেবে? ইংল্যান্ডে গিয়ে সে কার কাছে থাকবে? তার স্কুলের বিষয় আছে। ইংল্যান্ড সরকার তার সেফটি এবং সিকিউরিটির জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা নেবে। আমরা এসব বিষয়ে আদালতের কাছে নির্দেশনা চাইছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন