টাকায় নয়-এখন ঘুষ লেনদেন হচ্ছে ডলারে। এই মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের এবং বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর ডিভিশন বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। জহুরুল ইসলাম আশু নামে একজনের পরিবর্তে কারাগারে চাকরি করছেন একই নামের আরেকজন। এ বিষয়ে মামলা দায়ের করেছিলো দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার শুনানিকালে আদালত উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
শুনানিকালে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
শুনানির এক পর্যায়ে সরকারপক্ষীয় আইনজীবী বলেন, সংবাদমাধ্যমে দেখা যায়, ঘুষ লেনদেন হয় বস্তায় বস্তায়। তখন বেঞ্চের সিনিয়র বিচারপতি বলেন, এখন আর বস্তায় নয়। ঘুষ লেনদেন হচ্ছে ডলারে। এসব দুর্নীতির বিষয়ে কী করছে দুদক ? এমন প্রশ্নও তোলেন আদালত।
ছদ্মবেশ ধারণ এবং বিভিন্ন জাল-জালিয়াতি করে চট্টগ্রাম ও সিলেটে ২০০ কারারক্ষী চাকরি করছেন, সংবাদ মাধ্যমে এমন খবর প্রচারিত হয়। পরে কারা কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে ৮৮ জনের জাল জালিয়াতির প্রমাণ পায়। এর মধ্যে একজনের পরিবর্তে চাকরি করছেন আরেকজন-এমন তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন