শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম

ইহুদীদের সাথে দাজ্জালের সম্পর্ক

এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুন্শী | প্রকাশের সময় : ২০ জুন, ২০২২, ১২:০৪ এএম

ইহুদীরা ধারণা মতে হযরত মূসা (আ.)-এর অনুসারী। তাওরাত তাদের আসমানী গ্রন্থ। হযরত মূসা (আ.)-এর আমলে তাদেরকে বনী ইসরাঈল বলা হতো। তবে, কোন সময় হতে তারা ইহুদী নামে আখ্যায়িত হলো, এ সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যায় না। ইহুদী ধর্মমতে কিছু অদ্ভুত ও অভিনব বিশ্বাস লালন করা হয়। যেমন-ইহুদীরা আল্লাহ তায়ালার সবচেয়ে বেশি পছন্দনীয় সৃষ্টি। ইহুদীগণ আল্লাহর পুত্র। এ পৃথিবীতে ইহুদী না থাকলে দুনিয়ার সকল বরকত ও কল্যাণ তুলে নেয়া হতো। সূর্য আচ্ছাদিত হয়ে যেত। বৃষ্টি বর্ষণ বন্ধ হয়ে যেত। ইহুদীদের ধারণায়, অইহুদীদের তুলনায় ইহুদীরা এতই উত্তম যেমন মানুষ অন্যান্য প্রাণির তুলনায় উত্তম।

ইহুদী নয় এমন ব্যক্তির সাথে ইহুদীদের বিনয় নম্র ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। এমনকি সবচেয়ে জঘন্য অপরাধ। পৃথিবীর সকল ধনভাণ্ডার ইহুদীদের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। এটা তাদের অধিকার। সুতরাং যেভাবেই হোক পৃথিবীর সম্পদ হস্তগত করা তাদের জন্য বৈধ। আল্লাহ তায়ালা শুধু ইহুদীদের আরাধনা ও উপাসনাই কবুল করেন।

আর তাদের বিশ্বাস এই যে, নবী ও রাসূলগণ নিষ্পাপ নন। বরং তারাও গোনাহের ফাঁদে আটকা পড়েন।
তারা এও বিশ্বাস করে যে, দাজ্জাল হবে একজন ন্যায়পরায়ণ শাসক। তার আগমনের পর সারা বিশ্বে তার ক্ষমতা ও রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। ইহুদীরা হযরত ঈসা রুহুল্লাহ (আ.) এবং বিশ্ব নবী মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নবুওত ও রিসালাতকে বিশ্বাস করে না। তারা হযরত মারইয়াম (আ.)-এর ওপর মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে। হযরত ঈসা (আ.) সম্পর্কে তাদের ধারণা হলো এই যে, তাঁকে শূলিতে চড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে।

হযরত ওজায়ের (আ.) সম্পর্কে তাদের ধারণা হলো যে, তিনি আল্লাহর পুত্র। তারা বিশ্বাস করে যে, আল্লাহ তায়ালা নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডল সৃষ্টি করে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। এ জন্য সপ্তম দিনে বিশ্রাম নিতে বাধ্য হন। আল কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় তাদের এ সকল ভ্রান্ত বিশ্বাসকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে এবং এর মূলোৎপাটন করা হয়েছে। এ ধরনের বহু ভ্রান্ত বিশ্বাস তাদের ধর্মের অঙ্গ। তারা আহলে কিতাব নামধারী হলেও এ সকল মিথ্যা ও ভ্রান্ত বিশ্বাসের কারণে আল কোরআনে তাদেরকে কাফির ও মুশরিক বলে গণ্য করা হয়েছে। (আল আদইয়ান ওয়াল ফিরাক : উদ্বৃতি আল আকীদাতুল হানাফিয়্যাহ : পৃ: ১৪০)।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
Mosharof Hossain ২০ জুন, ২০২২, ৬:২৯ এএম says : 0
দাজ্জালের সঙ্গে ইতিমধ্যে ইহুদিদের যোগাযোগ শরু হয়ে গেছে! বিষয়টি শুনতে বিস্ময়কর মনে হতে পারে এ কারণে যে, এ মুহুর্তে পৃথিবীতে দাজ্জালের অবস্থান কোথায় সুনির্দিষ্টভাবে কারো জানা নেই। তবে একজন শীর্ষ ইহুদি ধর্মযাজক দাবি করেছেন দাজ্জালের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়েছে এবং সে শীঘ্রই আত্নপ্রকাশ করতে যাচ্ছে।
Total Reply(1)
Md. Aman Ullah Talukder ২০ জুন, ২০২২, ১০:২৩ পিএম says : 0
নিঃসন্দেহে ইহুদি ধর্মযাজক দাজ্জালের সংগে সাক্ষাতের মিথ্যা দাবী করেছেন।
Md Ali Azgor ২০ জুন, ২০২২, ৬:৩২ এএম says : 0
দাজ্জালের সঙ্গে ইহুদিদের যোগাযোগ হতে পারে কিনা এ নিয়ে কিয়ামত বিষয়ে ইসলামি গবেষক ও বক্তা মুফতি কাজী ইব্রাহিম বলেন, ‘দাজ্জাল ইতিমধ্যেই ইহুদি জাতিকে বুদ্ধি পরামর্শ দিতে শুরু করেছে পেছন থেকে। অর্থাৎ সে সামনে আসছে না কিন্তু কর্মকান্ড শুরু করেছে এবং আত্নপ্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্দিষ্ট সময় হলে সামনে এসেই ইহুদিদের নেতৃত্ব দেবে। ’
Total Reply(0)
Ismail Sagar ২০ জুন, ২০২২, ৬:৩২ এএম says : 0
দাজ্জাল আগে থেকেই পৃথিবীর খবরাখবর সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট থাকবে। সে গায়েব জানে না। কোনো মাধ্যম ব্যবহার করেই তাকে আপডেট থাকতে হবে এবং আত্নপ্রকাশের প্রস্তুতি নেবে। দাজ্জাল যেহেতু ইহুদিদের নেতা সেহেতু ইহুদিদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ঘটতে পারে এটি অস্বাভাবিক নয়। বাকী আল্লাহই ভালো জানেন। তাছাড়া বর্তমান বিশ্বের সবেচেয়ে প্রযুক্তি সক্ষম জাতি ইহুদি। ফলে এ সক্ষমতা তাদের দাজ্জালকে খুঁজে পেতে সহায়ক হতে পারে।
Total Reply(0)
Rabbul Islam Khan ২০ জুন, ২০২২, ৬:৩২ এএম says : 0
দাজ্জালের কথা থেকেও স্পষ্ট সে পৃথিবীর খবরাখবর রাখছে এবং তথ্য জানতে খুবই আগ্রহী।
Total Reply(0)
Md. Aman Ullah Talukder ২০ জুন, ২০২২, ১০:২৯ পিএম says : 0
যখন আল্লাহর হুকুম হবে একমাত্র তখনই দাজ্জাল আত্বপ্রকাশ করবে এবং আত্বপ্রকাশের পূর্বে কেউই দাজ্জালকে খুজে পাবে না।
Total Reply(0)
MUHAMMAD SALEHIN ২২ জুন, ২০২২, ১২:০৫ এএম says : 0
হযরত দাউদ আঃ এবং তাঁর পুত্র সোলাইমান আঃ এর রাজত্ব কালকে বলা হয় বানী ইসরাঈলগণদের স্বর্নালীযুগ। নিশ্চয়ই তারা ছিলেন আল্লাহর মনোনীত জাতি অনেক নবী ও রাসূলের আগমনে তাদেরকে ও সেই অঞ্চলকে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র ভূমি বলে নাম করন করেছেন। অতপর (সংক্ষিপ্ত করা হল) নবী সোলাইমান আঃ এর মৃত্যুর পর মুহূর্তেই বানী ইসরাঈলগণ রাজ্য হারা হন , কারণ তারা তা জানতেন না যে, আল্লাহ তায়ালা সোলাইমান আঃ এর দোয়া কবুল করে নিয়েছিলেন (সূরাহ ছোয়াদে উদ্ধৃত আছে) । সম্ভবত তাদের ঐ ক্রান্তিকালে আল্লাহ তায়ালা ঐ সুসংবাদ দিয়েছিলেন যে তিঁনি একজন মাছীহ প্রেরণ করবেন, যিনি বানী ইসরাঈলদেরকে একত্রিত করবেন এবং পুণরায় তাদের যে স্বর্নালীযুগ ফিরিয়ে দেবেন । আল্লাহর সে প্রতিজ্ঞায় আজও তারা অপেক্ষা মান। অতপর আল্লাহ তায়ালা সেই প্রতিক্ষিত মাছীহ পাঠালেন কিন্ত তিঁনি তাদেরকে একটি পরীক্ষা নিলেন, অতপর তারা হযরত ইসা আঃ কে মেনে নিতে সম্পূর্ণ রূপে অস্বীকার করল। (এখানে অনেক তথ্য সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে) হযরত ইসা আঃ কে হত্যা চেষ্টার পর আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে সম্পূর্ণ ভাবে পবিত্র ভূমি থেকে বের করে দিলেন এবং এ স্থানে ফিরে আসার উপর একটি সময় পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হল। (সূরাতুল আম্বিয়া 95-96) আল্লাহ তায়ালা তাদের ফিরে আসার জন্য তওবার একটি শেষ দরজা উন্মুক্ত রেখেছেন তা ছিল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহীস সাল্লাম কে মেনে নেয়া। বড় আশ্চর্য ব্যাপার মহানবীর আগমনের পূর্বেই ইয়াহুদীদের মাদীনায় অবস্থান! অতপর আমাদের নবী সাঃ 17 মাস পর্যন্ত পূর্ববর্তী কেতাবের নিয়মে পালন করতে লাগলেন। (এটা ছিল তাদেরকে একটি বার্তা প্রদান) ক্ষমার শেষ সুযোগটাকে প্রত্যাখ্যান করার পর  নবী সাঃ আমাদেরকে দাজ্জাল সম্পর্কে সতর্ক করতে লাগলেন। *দাউদ আঃ এর বংশ থেকে। * আজকের অর্থডক্স ইয়াহুদীদের মতন কোকরানো চুল বিশিষ্ট। * সত্যিকারের মাছীহ রূপে প্রতারণাকারী। * ডান চোখ অন্ধ (ব্যাখ্যার দাবি রাখে)। * আরও অনেক। আজকে ইয়াহুদীগণ বলেন তাদের মাছীহ ভিন্ন মুসলিম এবং খ্রিষ্টানদের বর্ণনা থেকে। কেননা তারা শয়তানের প্ররোচনায় কেতাবের কিছু কিছু অংশকে বিকৃত করেছে। আজকের ইয়াহুদীগণ বলেন কতগুলো শর্ত রয়েছে তা পূরণ হলে মাছীহ'র আগমনের প্রতিক্ষা করা যায়ঃ ১। জেরুযালেম অইয়াহুদীদের হাত থেকে মুক্ত করা ২। ইয়াহুদীদের জেরুযালেমে একত্রিত করা। ৩। জেরুযালেম থেকে পৃথিবী নিয়ন্ত্রক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া। ইত্যাদি। কোরআনে উদ্ধৃত রয়েছে জেরুযালেমকে আল্লাহ তায়ালা বানী ইসরাঈলদের দিয়েছিলেন, কিন্ত তা ছিল শর্ত যুক্ত।
Total Reply(0)
salman ২৪ জুন, ২০২২, ৪:০৩ এএম says : 0
Yahudira ZALIM, Munafik, vondo, Bodmash JATI
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন