ইহুদীরা ধারণা মতে হযরত মূসা (আ.)-এর অনুসারী। তাওরাত তাদের আসমানী গ্রন্থ। হযরত মূসা (আ.)-এর আমলে তাদেরকে বনী ইসরাঈল বলা হতো। তবে, কোন সময় হতে তারা ইহুদী নামে আখ্যায়িত হলো, এ সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যায় না। ইহুদী ধর্মমতে কিছু অদ্ভুত ও অভিনব বিশ্বাস লালন করা হয়। যেমন-ইহুদীরা আল্লাহ তায়ালার সবচেয়ে বেশি পছন্দনীয় সৃষ্টি। ইহুদীগণ আল্লাহর পুত্র। এ পৃথিবীতে ইহুদী না থাকলে দুনিয়ার সকল বরকত ও কল্যাণ তুলে নেয়া হতো। সূর্য আচ্ছাদিত হয়ে যেত। বৃষ্টি বর্ষণ বন্ধ হয়ে যেত। ইহুদীদের ধারণায়, অইহুদীদের তুলনায় ইহুদীরা এতই উত্তম যেমন মানুষ অন্যান্য প্রাণির তুলনায় উত্তম।
ইহুদী নয় এমন ব্যক্তির সাথে ইহুদীদের বিনয় নম্র ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। এমনকি সবচেয়ে জঘন্য অপরাধ। পৃথিবীর সকল ধনভাণ্ডার ইহুদীদের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। এটা তাদের অধিকার। সুতরাং যেভাবেই হোক পৃথিবীর সম্পদ হস্তগত করা তাদের জন্য বৈধ। আল্লাহ তায়ালা শুধু ইহুদীদের আরাধনা ও উপাসনাই কবুল করেন।
আর তাদের বিশ্বাস এই যে, নবী ও রাসূলগণ নিষ্পাপ নন। বরং তারাও গোনাহের ফাঁদে আটকা পড়েন।
তারা এও বিশ্বাস করে যে, দাজ্জাল হবে একজন ন্যায়পরায়ণ শাসক। তার আগমনের পর সারা বিশ্বে তার ক্ষমতা ও রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। ইহুদীরা হযরত ঈসা রুহুল্লাহ (আ.) এবং বিশ্ব নবী মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নবুওত ও রিসালাতকে বিশ্বাস করে না। তারা হযরত মারইয়াম (আ.)-এর ওপর মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে। হযরত ঈসা (আ.) সম্পর্কে তাদের ধারণা হলো এই যে, তাঁকে শূলিতে চড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে।
হযরত ওজায়ের (আ.) সম্পর্কে তাদের ধারণা হলো যে, তিনি আল্লাহর পুত্র। তারা বিশ্বাস করে যে, আল্লাহ তায়ালা নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডল সৃষ্টি করে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। এ জন্য সপ্তম দিনে বিশ্রাম নিতে বাধ্য হন। আল কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় তাদের এ সকল ভ্রান্ত বিশ্বাসকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে এবং এর মূলোৎপাটন করা হয়েছে। এ ধরনের বহু ভ্রান্ত বিশ্বাস তাদের ধর্মের অঙ্গ। তারা আহলে কিতাব নামধারী হলেও এ সকল মিথ্যা ও ভ্রান্ত বিশ্বাসের কারণে আল কোরআনে তাদেরকে কাফির ও মুশরিক বলে গণ্য করা হয়েছে। (আল আদইয়ান ওয়াল ফিরাক : উদ্বৃতি আল আকীদাতুল হানাফিয়্যাহ : পৃ: ১৪০)।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন