শুক্রবার , ২৪ মার্চ ২০২৩, ১০ চৈত্র ১৪২৯, ১ রমজান ১৪৪৪ হিজিরী

সারা বাংলার খবর

সেন্টমার্টিন ঘিরে প্রস্তাবিত স্ববিরোধী নীতিমালা পর্যটনের বিকাশে নয় বরং পর্যটনের গলা টিপে ধরার মত

সংবাদ সম্মেলনে স্কোয়াব নেতৃবৃন্দ

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০২২, ২:০১ পিএম | আপডেট : ২:০১ পিএম, ২২ জুন, ২০২২

সেন্টমার্টিন দেশী-বিদেশী পর্যটকের কাছে অত্যন্ত আকর্ষনীয় একটি স্থান। তাই প্রতি বছর এখানে পর্যটক যাতায়াত বাড়ছে।

সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করণের বিষয়টি পর্যটন শিল্পের সাথে সাংঘর্ষিক ও হঠকারি বলে জানিয়ে এটি দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ বলে দাবী করেন
সী ক্রুজ অপারেটরস এসোসিয়েশন বাংলাদেশ (স্কোয়াব) নেতৃবৃন্দ।

আজ ২২ জুন (বুধবার) কক্সবাজারে কলাতীর একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্কোয়াব নেতৃবৃন্দ এসংক্রান্ত পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত নীতিমালাকে প্রত্যাখ্যান করে বলেন, তারা পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষার পক্ষে। তবে দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও এর সাথে জড়িত ৫ লাখ মানুষের জীবন জীবিকার স্বার্থে তারা পরিবেশ অধিদপ্তরের স্ববিরোধী নীতিমালা প্রত্যাখন করেন।
আগের নিয়মে সেন্টমার্টিনে আগের নিয়মে পর্যটক যাতায়াতের সুযোগ দাবী করেন। পাশাপাশি কক্সবাজার এর অভিজ্ঞ ও সচেতন মহলের সাথে পরামর্শ করে নীতিমালা তৈরীর আহবান জানান।

নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন রেখে বলেন, দৈনিক তিন হাজার পর্যটক সেন্টমার্টিন গেলে কি ক্ষতি আর মাত্র ৯ শত পর্যটক সেখানে গেলে কি লাভ হবে? এটি দ্বীপের ১০ হাজার অধিবাসীর সাথে সাথে জড়িত ৫ লাখের মত মানুষের জীবন জীবিকা নির্ভশীল।
তারা বলেন, কক্সবাজার এর গোটা সৈকত এলাকা ইসি এলাকা। তা হলে কক্সবাজার এবং সেন্টমার্টিনের জন্য দুই নীতিমালা হবে কেন?

সেন্টমার্টিন দেশী-বিদেশী পর্যটকের কাছে অত্যন্ত আকর্ষনীয় একটি স্থান। এর সাথে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ৫ লাখ মানুষ জড়িত। সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করণ প্রক্রিয়া একটি দেশি-বিদেশি সড়যন্ত্র হতে পারে বলে তারা মন্তবয় করেন।
পর্যটক সীমিত করা কোন সমাধান নয় বরং সুষ্ঠু নীতিমালা তৈরী করে পর্যটন শিল্পকে বিকশিত করাই যুক্তিযুক্ত। তারা এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সী ক্রুজ অপারেটরস এসোসিয়েশন বাংলাদেশ (স্কোয়াব) এর নেতৃবৃন্দ যতাক্রমে তোফায়ল আহমদ, হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর, আনোয়ার কামাল,নুর মুহাম্মদ ও মুকিম খান।

সভাপতি তোফায়েল আহমদ বলেন, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, রেল লাইন, চার লাইনের সড়ক পথ পর্যটনের বিকাশেই করছে সরকার।
গত পর্যটন মৌসুমে কক্সবাজার থেকেই সরকার ১১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পেয়েছে বিভিন্ন খাতে। কিন্তু পরিবেশের দোহাই দিয়ে সেন্টমার্টিন ঘিরে যে স্ববিরোধী নীতিমালা হতে যাচ্ছে তা হবে পর্যটনের বিকাশ নয় বরং পর্যটনের গলা টিপে ধরার মত।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন