ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল শাখাগুলোর রাজনীতি আরও সক্রিয় ও বেগবান করার লক্ষ্যে আগামী কাল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাবি’র হল সম্মেলন। এর আগে ২০১৩ সালে ছাত্রলীগের হল কমিটি ঘোষণা করা হয়। হল কমিটিগুলো এক বছর মেয়াদী হলেও সাড়ে তিন বছর পর এবার সম্মেলনের মাধ্যমে ঘোষণা করা হচ্ছে কমিটি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঢাবির অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ সম্মেলন উদ্বোধন করবেন ।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সেক্রেটারী এস এম জাকির হোসাইন বলেন এবারের কমিটিতে যারা প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করে ও ক্লিন ইমেজের অধিকারী শুধু তাদের নিয়ে আসা হবে, বিতর্কিত কোন পদপ্রার্থী থাকলে সে চূড়ান্ত বাছাইয়ে বাদ পড়বে, এ ব্যাপারে আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখছি।
এদিকে হল কাউন্সিলকে ঘিরে সরব হয়ে উঠেছে ছাত্রলীগের ক্যাম্পাস রাজনীতি। সম্মেলন ঘিরে নেতা কর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে এক উৎসবমুখর আমেজ, পদপ্রার্থীরা মেতে উঠেছেন ফেসবুকসহ নানা সামাজিক মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণায় অনেকে শুরু করেছেন নানা তদবির ও দেনদরবার। মধুর ক্যান্টিনে উপস্থিতি ও মধ্যরাত পর্যন্ত মিছিল ও শ্লোগানের মাধ্যমে তারা জানান দিচ্ছেন তাদের জনশক্তি ও সক্রিয়তার। এদিকে অনেক পদপ্রার্থীর বিরুদ্ধে উঠে আসছে নানা অনিয়ম ও কেলেঙ্কোরির অভিযোগ, তার অধিকাংশই করছেন বিপক্ষ গ্রæপের পদপ্রার্থীরা। এছাড়াও নানা মাধ্যম থেকেও উঠে আসছে বিভিন্ন অভিযোগ, এর মাঝে আছে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় জালিয়াতিতে সহযোগিতা, নারী কেলেঙ্কারি, ৫ জানুয়ারির পূর্বে রাজনীতিতে নীরব থাকাসহ নানা অভিযোগ। পদ প্রত্যাশীদের অনেকে আবার অনিয়মিত ছাত্র বলেও অভিযোগ উঠে এসেছে অনেক মাধ্যম থেকে। এদিকে অনেক পদ প্রত্যাশীর বিরুদ্ধে পদ বাণিজ্যের অভিযোগও উঠেছে, তারা মোটা অঙ্কের বিনিময়ে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সুপারিশ নিচ্ছেন বলে জানা যায়।
প্রতিবারের ন্যায় এবারও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাবি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একত্রে বসে সিদ্ধান্ত নিবেন কারা ঠাঁই পাবেন নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের জন্য রয়েছে একাধিক প্র্রার্থী এরা কেউ আঞ্চলিক দিক থেকে আবার কেউবা ক্লিন ইমেজ ও ভাল সংগঠক হিসেবে এগিয়ে। কমিটি ঘোষণার ব্যাপারে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান বলেন, সম্মেলনের দিনই কমিটি ঘোষণা করার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
পদ প্রত্যাশীদের মাঝে ছেলেদের হলগুলোর মাঝে এগিয়ে আছেন বিজয় একাত্তর হলে নয়ন হাওলাদার, জামশেদ আহমদ, রাজিবুল ইসলাম তারিফ, ফকির রাসেল আহমেদ, সাইফুল ইসলাম জুয়েল। মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে আবদুল্লাহ আল মাসুদ লিমন, ইউসুফ উদ্দিন খাঁন, সাগর আহমেদ, নাজমুল হোসাইন। স্যার এ এফ রহমান হলে শাহরিয়ার আলম, মাহমুদুল হাসান তুষার, সম্রাট সিরাজুল ইসলাম, শেখ নাজমুল আহমেদ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে আওলাদ খান, রাকিবুল হাসান রাকিব, মেহেদী হাসান, সূর্য, বাঁধন। কবি জসীম উদ্দীন হলে সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ হোসেন, রবিউল ইসলাম, আল মাসুদ সজীব, শাহেদুর রহমান শাহেদ। মাস্টার দা সূর্যসেন হলে শেখ নকিবুল ইসলাম সুমন, গোলাম সরওয়ার সরো, খ ম মুহতামিম হাসিব, কামাল খান। জগন্নাথ হলে কৃষ্ণ মজুমদার, উৎপল বিশ্বাস, সনজিত চন্দ্র দাস, শেখর পাল, অভিজিৎ কুমার বিশ্বাস, সজীব সাহা, সমিত্র সাহা। শহীদুল্লাহ হলে রাশিদ শাহরিয়ার উদয়, আব্দুল ফাত্তাহ তুহিন, আলমগীর কবির, তরিকুল ইসলাম। হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে তামিম আহমেদ, ইব্রাহীম রাজু, মুজাহিদুল ইসলাম সোহাগ, সরকার জহির রায়হান। শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে আনিসুল ইসলাম জুয়েল, সোহানুর রহমান সোহান, আসিফ তালুকদার। সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে আহমেদ তাহসান, আসিফ উদ্দিন আহমেদ, মেহেদী হাসান তাপস। অমর একুশে হলে তাসফিক আহমেদ লিমন, আতাউল গণি কৌশিক, তানজিল হোসাইন, সাকিব হাসান সিফাত। ফজলুল হক মুসলিম হলে নূরে আলম চৌধুরী শাউন, শাহরিয়ার সিদ্দিক সিসিম, রাশেদ মাহমুদ, আরিফুর রহমান জিসান।
মেয়েদের হলগুলোর মাঝে এগিয়ে আছেন রোকেয়া হলে সাবরিনা, লিপি আক্তার এবং শ্রাবণী। ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলে বেনজীর হোসেন নিশির। শামসুন্নাহার হলে ইসরাত জাহান মুন এবং নিপু ইসলাম তন্বী, জিয়াসমিন শান্তা। কুয়েত মৈত্রী হলের ফরিদা পারভীন ও সুস্মিতা সেন। বেগম সুফিয়া কামাল হলের রিমঝিম, নুরুন্নাহার সোমা, ইফফত জাহান ইশা, নাজমুন সালেহিন তৃষা ও সম্পা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন