শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

শাবিতে ভর্তি জালিয়াতির অভিযোগে ছাত্রলীগ কর্মীসহ আটক ৮

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

শাবি সংবাদদাতা : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ছাত্রলীগকর্মীসহ ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সকালে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হচ্ছে ছাত্রলীগ কর্মী আল আমিন, ভর্তিচ্ছু ৬ পরীক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ইশরাত ইমতিয়াজ হৃদয়।
বিশ^বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. রাশেদ তালুকদার জানান, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার ভোর ৬টায় কুমারগাও বাসস্ট্যান্ডে জালালাবাদ থানা এবং সিআইডি ও অন্যান্য পুলিশ ৬ জনকে আটক করে। আর পরে আরো ২ জনকে আটক করা হয়।
এবিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার নুরুল হুদা আশরাফী বলেন, বগুড়ার ‘গুগল কোচিং সেন্টার’ নামের একটি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং সেন্টার কোচিংয়ের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের উত্তর সরবরাহের কাজ করে আসছে। বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ের ফরম তারা পূরণ করে থাকে। ফরম পূরণের আড়ালে তারা ভর্তি জালিয়াতিসহ এই ধরনের অপকর্মগুলো করে থাকে। আমরা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পাই যে বি ইউনিটের পরীক্ষা দিতে তারা সিলেট চলে আসে। মূলত চারভাগে এই পার্টিগুলো কাজ করে। প্রথম টিম শিক্ষার্থীদের সংগ্রহ করত, দ্বিতীয় দল প্রশ্ন সংগ্রহে জড়িত, তৃতীয় দলটি প্রশ্ন সমাধানে কাজ করে আর অন্যদিকে চতুর্থ দলটি এই প্রশ্নের সমাধান টেকনোলজির মাধ্যমে তাদের কাছে প্রেরণ করত।
তিনি আরো জানান, বগুড়ায় অবস্থিত এ কোচিং সেন্টারটির কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তর সরবরাহের কাজ করতো। এজন্য শিক্ষার্থী প্রতি ৫-৬ লাখ টাকা নিত চক্রটি।
এসময় তাদের কাছ থেকে ১৬টি ক্যালকুলেটার ডিভাইস উদ্ধার করে পুলিশ। তবে চক্রের মুল হোতা ও গুগল কোচিং সেন্টারের সহকারী পরিচালক আবির ওরফে তুহিনকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে জালিয়াতির অভিযোগে বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অঞ্জন রায় সমর্থিত নজরুল ইসলামের অনুসারী ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আল আমিনকে শাহপরান হলের ২১০ নম্বর কক্ষ থেকে আটক করলেও জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আখতার হোসেন তা অস্বীকার করেন। তবে এনিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. রাশেদ তালুকদার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যে হল থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। এখন তদন্ত চলছে। এ মুহূর্তে আমরা তথ্য দিতে চাচ্ছি না।
অপরদিকে গত শুক্রবার রাতে একই অভিযোগে ছাত্রলীগ কর্মী এবং ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী বাপ্পিকে আটক করা হয়। পরে শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম তার অনুসারী বাপ্পিকে জালালাবাদ থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন