ভারতের বাণিজ্য শহর কলিকাতার সাথে বেনাপোলের দূরত্ব কম হওয়ায় যাত্রীরা বেনাপোল পেট্রাপোল স্থল পথ দিয়ে যাতায়াত করেন বেশি। ঈদের ছুটি কাটাতে, চিকিৎসা ভ্রমণ ব্যবসা সহ স্বজনদের সাথে দেখা করতে ভারত যাচ্ছেন অনেকে। ঈদের দুইদিন আগে থেকে বাধভাঙ্গা জোয়ারের ন্যায় বেড়েছে যাত্রী যাতায়াত। যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন প্রশাসনের সদস্যরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকছে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন।
ইমিগ্রেশন কতৃপক্ষ জানায়, ঈদের দুইদিন আগে থেকে অর্থ্যাৎ গত ৭ দিন ৪০ হাজার ৯৮৪ জন যাত্রী বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে যাতায়াত করেছে। ঈদের পর চিকিৎসা, দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ, স্বজনদের সাথে দেখা সাক্ষাতসহ কেনাকাটা শেষে আবারও দেশে ফিরতে শুরু করেছেন হাজার হাজার যাত্রী। তবে বেনাপোলের ওপারে নো-ম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় যাত্রীদের নানাভাবে হয়রানি ও দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। ভারতীয় অংশে গেটে পাসপোর্ট চেকিংয়ে ধীরগতি এবং প্রবেশের একটি মাত্র গেট হওয়ায় দীর্ঘ লাইনের সৃষ্টি হচ্ছে।
এতে করে রোদ, বৃষ্টি ও গরমে অতিষ্ট হচ্ছেন যাত্রীরা। ভারতের পট্রোপোল ইমিগ্রেশনে ধীরগতির কারনে নো-ম্যান্সল্যান্ডে রাত ১০ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত দাড়িয়ে থাকতে হচ্ছে এসব পাসপোর্ট যাত্রীদের।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঈদের ছুটি কাটাতে , চিকিৎসার জন্য ও স্বজনদের সাথে দেখা করতে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রীদের যাতায়াতের সংখ্যা প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্য সময়ের তুলনায় এখন যাত্রী পারাপার বদ্ধি পেয়েছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে ১৪টি ডেস্কে নিয়মিত কাজ করছেন অফিসাররা এবং জনবল বাড়ানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন