নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া গ্রামে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করার প্রতিবাদে ওই এলাকাবাসী গত শুক্রবার সন্ধ্যায় দিঘলিয়া বাজারে মানববন্ধন করে। পরে উত্তেজিত জনতা দিঘলিয়া বাজারের ৬টি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ সময় উত্তেজিত জনতা একটি মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং ৪টি বসতবাড়ি ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
জানা গেছে, দিঘলিয়া গ্রামের অশোক সাহার ছেলে আকাশ সাহা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে অশালীন মন্তব্য লিখে পোস্ট দেয়। তার এই লিখিত বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই এলাকাবাসী এর প্রতিবাদে এবং তাকে গ্রেফতারের দাবিতে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় দিঘলিয়া বাজারে মানববন্ধন করে। পরে উত্তেজিত জনতা দিঘলিয়া বাজারের নিত্য দুলাল সাহা, অনুপ সাহা, অশোক সাহা, সনজিদ সাহার মুদি দোকান এবং গোবিন্দ কুন্ডু ও গৌতম কুন্ডুর মিষ্টির দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এছাড়া সাহা পাড়ার গৌরসাহা, চায়না রানী সাহা ও বিপ্লব সাহার বাড়িঘর ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায় এবং নাড়ু গোপালের বসতঘরে লুটপাট করে আগুন ধরিয়ে দেয়। উত্তেজিত জনতা রাত নয়টার দিকে আখড়াবাড়ী সার্বজনিন পূজা মণ্ডপে আগুন ধরিয়ে দেয়।
লোহাগড়া থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে এবং শটগানের ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। পরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে র্যাব-৬ এর একটি দল এবং নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর রায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। বর্তমানে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজগার আলী জানান, আকাশ সাহা পলাতক থাকায় তার অবস্থান জানার জন্য তার বাবা অশোক সাহাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন