১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে আমরা সাবেক পূর্ব পাকিস্তান এবং বর্তমান বাংলাদেশের মানুষরা ছিলাম মজলুম এবং নির্যাতিত। আমাদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিল ভারত। তারা সীমান্ত খুলে দিয়েছিল, যাতে করে বাংলাদেশের মানুষ সীমান্ত পার হয়ে ভারতে আশ্রয় নিতে পারে। বাংলাদেশের ৯০ লাখ মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। ওই ৯০ লাখের মধ্যে আমিও একজন ছিলাম। মুক্তিযুদ্ধের কিছু দিন আমি আগরতলা ছিলাম বলে সেখানকার শরণার্থী শিবির এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আমার কিছুটা ধারণা আছে। তার কিছু ছিটেফোটা আজ বলব।
বিষয়টি বলা আরও জরুরি হয়েছে এ কারণে যে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সে দেশের সেনারা এবং রাখাইন বৌদ্ধরা যে দানবীয় নির্যাতন ও জুলুম করছে তার সাথে ’৭১ সালের ঘটনাবলির অনেক মিল রয়েছে। সেদিন পাক হানাদার বাহিনী বাঙালিদের ধর্ষণ করেছে, হত্যা করেছে এবং ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। তাদের নেতৃত্বে ছিল জেনারেল ইয়াহিয়া খান। আজ মিয়ানমার বাহিনীও রাখাইন বা আরাকানের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপরে ঠিক একই ধরনের জুলুম চালাচ্ছে। তারা রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ করছে, রোহিঙ্গা পুরুষদের গুলি করে হত্যা করছে অথবা পুড়িয়ে মারছে এবং রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ভস্ম করে দিচ্ছে। পাক হানাদার বাহিনীর শীর্ষে ছিল একজন মিলিটারি জেনারেল। আর মিয়ানমার বাহিনীর শীর্ষে আছে একজন বেসরকারি লেডি। এই কুখ্যাত ব্যক্তির নাম অং সান সু চি, যে ব্যক্তিকে নরওয়ের নোবেল কমিটির লোকেরা কোন কুক্ষণে নোবেল প্রাইজ দিয়েছিলেন। তারা অপাত্রে ঘি ঢেলেছেন। ইয়াহিয়া খান ছিলেন একজন মদ্যপ, নারী মাংসাশী এবং রক্তপিপাসু। অং সান সু চির ব্যক্তিগত দিক জানি না, জানতে চাইও না। কিন্তু তার রাজনৈতিক পরিচয় হলো তিনি মুসলিম ঘাতক একজন রক্তপিপাসু রাক্ষসী ডাইনি।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্য রাতে আর্মি ক্র্যাক ডাউন হয়। পরদিন অর্থাৎ ২৬ মার্চ ভারতীয় রেডিও অর্থাৎ আকাশ বাণী কলকাতায় দেব দুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠ শোনা যায়। আকাশ বাণী থেকে ঘোষণা দেয়া হয় যে, বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত খুলে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের নির্যাতিত মানুষ চাইলে সীমান্ত পার হয়ে ওই ধারে যেতে পারেন। এই ঘোষণা শোনার পর শুরু হয় কলকাতা ও আগরতলা যাওয়ার পালা। প্রাণভয়ে মানুষ বিরাট কাফেলাসহ নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে পশ্চিমবঙ্গ ও আগরতলা যায়। ৯ মাসে এসব শরণার্থীর সংখ্যা ৯০ লাখে উন্নীত হয়।
আমি ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি কুমিল্লার নবীনগর পার হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্রিজের তল দিয়ে সীমান্ত পার হই এবং ত্রিপুরার আগরতলা পৌঁছি। আমার সাথে যে ব্যক্তি ছিলেন তিনি পরবর্তীতে ফরেন সার্ভিস নিয়ে উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হন। আমি ছিলাম ক্ষুদ্র শিল্প করপোরেশন বা বিসিকের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর। আমরা আগরতলার কলেজ টিলা শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নেই। এখানেই দেখা হয় আ স ম আবদুর রব, আবদুল কুদ্দুস মাখন, মমতাজ বেগম প্রমুখের সাথে। যাই হোক, মুক্তিযুদ্ধের যেসব ট্রেনিং ক্যাম্প ছিল তার মধ্যে এক বা একাধিক ক্যাম্প আগরতলাতেও ছিল। এখানেই আমরা খেতাম, এখানেই ঘুমাতাম। যারা অস্ত্র হাতে নিয়েছিল তারা সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে গেরিলা অপারেশন করত এবং ক্যাম্পে ফিরে আসত। অনেক ক্ষেত্রে তারা পাক আর্মির মুখোমুখি হতো। মুখোমুখি সংঘর্ষে উভয় পক্ষই হতাহত হতো। তবে জনগণ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিল বলে মুক্তিযোদ্ধাদের হতাহতের সংখ্যা কম হতো। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যেসব হতভাগ্য মানুষ ছিল তাদের অনেককে পাক আর্মি ধরে নিয়ে যেত, হত্যা করত এবং ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিত। মেয়েদের ধর্ষণ করত। এভাবে ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধ চলে। ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর যশোরের চৌগাছা এবং জীবননগরে ভারতীয় বিমান বাহিনী সর্ব প্রথম এয়ার অ্যাকশন করে। এরপর ৩ ডিসেম্বর পাক-ভারত সর্বাত্মক যুদ্ধ বেঁধে যায়। মুক্তিবাহিনীর সাথে ভারতীয় বাহিনী এই যুদ্ধে শরিক হয় বলে এই বাহিনীর নাম হয় যৌথ বাহিনী। পরবর্তী ইতিহাস সকলের জানা। ১৩ দিন যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাক বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং বাংলাদেশ হানাদারমুক্ত হয়।
॥ দুই ॥
রোহিঙ্গাদের দুঃখ-দুর্দশার কথা স্মরণ করতে গিয়ে আজ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সংক্ষিপ্ত চিত্র স্মরণ করতে হলো। এখন আমাদের ভেবে দেখতে হবে যে, পাকিস্তান আর্মি ২৫ মার্চ থেকে যে ক্র্যাকডাউন শুরু করেছিল তখন যদি বাঙালিদের সীমান্ত পাড়ে আশ্রয় নেয়ার জায়গা না থাকত তাহলে কি হতো? দেশের অভ্যন্তরে যত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, ধর্ষণ করা হয়েছে এবং ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে তার চেয়ে কয়েক গুণ কি বেশি হতো না? ঠিক একই দুর্দশা হচ্ছে রোহিঙ্গা মুসলমানদের। আমাদের একটি সুবিধা ছিল এই যে, এখানে সকলেই ছিল বাঙালি এবং বাঙালি মোটামুটি সকলেই ঐক্যবদ্ধ ছিল। তাই দেশের অভ্যন্তরেও শেল্টার মিলেছে। রোহিঙ্গাদের সেই সুযোগও নেই। রাখাইন প্রদেশের অধিবাসীদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ বৌদ্ধ। সংখ্যালঘিষ্ঠ অংশ মুসলমান। সংখ্যাগুরুর সাথে মিলেছে সেনাবাহিনী। সুতরাং রোহিঙ্গাদের মড়ার উপর পড়েছে খাঁড়ার ঘা।
ভারত আয়তন ও জনসংখ্যা সব দিক দিয়ে পাকিস্তানের চেয়ে বড়। তার সামরিক বাহিনীও শক্তিশালী। এ সময় ভারত বিশ্ব সভায় এই বলে দরবার করে যে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরা
সীমান্ত দিয়ে লাখ লাখ লোক প্রবেশ করলে তার সীমান্ত নিরাপত্তা বিপন্ন হয়ে যায়। সে জন্য অবিলম্বে এই সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান করতে হবে। অবশ্য শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক সমাধান হয়নি, সামরিক সমাধান হয়েছে।
বাংলাদেশ একই কথা বলতে পারবে বিশ্ব সভায়। তার সীমান্ত বিপন্ন। আবার হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে হায়নার মুখেও ঠেলে দেয়া যায় না। সুতরাং বিশ্ব সভাকে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করতে হবে। মিয়ানমারের ওপর বিভিন্ন অবরোধ আরোপ করতে হবে যাতে সে বিবদমান গোষ্ঠীর সাথে আলোচনার টেবিলে বসতে বাধ্য হয়।
পশ্চিমারা হস্তক্ষেপ করে দক্ষিণ সুদান এবং পূর্ব তিমুরকে স্বাধীন করে দিয়েছে। কিন্তু কাশ্মীর, ফিলিস্তিন ও রাখাইন বা আরাকানে হস্তক্ষেপ করেনি। কারণ এই তিনটি জায়গায় যারা নির্যাতিত হচ্ছে তারা মুসলমান। তাই তাদের কপালে রয়েছে অনন্ত আঁধার, যে আঁধারের শেষে এতটুকু আলোর সন্ধান আজও দেখা যাচ্ছে না। তবে সাময়িক সমাধান হিসেবে সীমান্ত খুলে দিয়ে মৃত্যু পথযাত্রী রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে বাঁচানোর জন্য বাংলাদেশ এগিয়ে যাক, জনগণের মধ্য থেকে আজ এটাই এই মুহূর্তের দাবি।
॥ তিন ॥
রাখাইনের নরক কু- থেকে পালিয়ে আসা এক মহিলার নাম লালু বেগম। তিনি বাংলাদেশের এক রিফিউজি ক্যাম্পে মার্কিন টেলিভিশন সিএনএনকে বলেন, ‘১০ বছরের অধিক বয়সের কোনো বালককে পেলেই তারা তাদের হত্যা করে। পুরুষদের সেনাবাহিনীর গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।’ তাদের সম্প্রদায়ের নারীরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে, পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হচ্ছে। লালু বেগম আরও বলেন, ‘সেনাবাহিনী যখন আসে তখন আমরা নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাই। আমি জানি না আমার স্বামী জীবিত আছেন নাকি তিনি মৃত।’ তার গ্রামের বহু নারী সরকারি সেনাদের ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। লালু বেগম বলেন, ‘তারা যখন কোনও সুন্দর নারী দেখে তখন তারা তাদের কাছে পানি চায়। এরপর তারা ঘরে ঢুকে তাদের ধর্ষণ করে।’ মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা শব্দটি পর্যন্ত ব্যবহার করতে রাজি নয়। তারা এ সম্প্রদায়ের মানুষদের অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করে। অথচ বহু মানুষই মিয়ানমারে তাদের পূর্বপুরুষদের শিকড় প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। লালু বেগম বলেন, ‘আমাদের গ্রাম যখন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় তখন আমরা অন্য গ্রামে চলে যাই। অব্যাহতভাবে অবস্থান বদলাতে থাকি। এভাবে আসতে আসতে আমরা নদীতীরে আসি।’ তিনি বলেন, এই আসার পথে অনেকেই তাদের পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছে। লালু বেগমের ভাবী নাসিমা খাতুন সিএনএনকে বলেন, ‘যাত্রা শুরু করার সময়ে আমরা ৬ জন ছিলাম। আমরা পরিবারের ৩ সদস্যকে হারিয়েছি। আমার স্বামী ও এক পুত্রকে হত্যা করা হয়েছে। আরেক পুত্র নিখোঁজ রয়েছে।’ গত রোববার ও সোমবার ৩৪ রোহিঙ্গাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে মিয়ানমারের সৈন্যরা। এ কারণেই সেনা অভিযানে তাদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে শত শত রোহিঙ্গা। বিজিবির নজরদারি কঠোর হওয়ায় বাংলাদেশে ঢুকতে পারছে না রোহিঙ্গারা। দেশটিতে সেনা অভিযানে ৪০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা ঘরবাড়ি হারিয়েছে। এরা বর্তমানে বন-জঙ্গল, সাগরকূল ও সীমান্ত এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। বিশেষ করে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের নাফ নদের ওপারে রোহিঙ্গাদের ভিড় জমেছে। প্রতি রাতেই সীমান্ত পার হয়ে এরা বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করছে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাত থেকে গত বুধবার সকাল পর্যন্ত কিছু রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসার পর বিজিবির হাতে আটক হয়েছে।
এ বছর সেপ্টেম্বর মাসে, অর্থাৎ মাত্র দুই মাস আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত অভিবাসন ও শরণার্থীবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়া এবং তাদের বসবাসের সুযোগ করে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু তার পরের মাসেই মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশে প্রবেশ ঠেকাতে তিনি বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড ও সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। তারা রোহিঙ্গাদের প্রবেশ ঠেকাচ্ছে, যদিও তাদের চোখ এড়িয়ে কিছুসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীর বাংলাদেশে প্রবেশ তারা একেবারে ঠেকাতে পারছে না। বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এই সংকটজনক অবস্থায় কেন প্রবেশ করতে দেবে না? এটা কি তাদের মানবিক ও গণতান্ত্রিক কর্তব্য নয়? এই কর্তব্য পালন না করা এবং শরণার্থীদের মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর গণহত্যার মুখে জোর করে ঠেলে দেয়া কি ফ্যাসিবাদেরই নামান্তর নয়? প্রধানমন্ত্রী সিরিয়া, ইরাক, লিবিয়া ইত্যাদি দেশের শরণার্থীদের অন্য দেশে আশ্রয় দেয়ার জন্য উদার আহ্বান জানাতে অসুবিধা বোধ করেন না, কারণ সেই আহ্বানে তার কোনো দায়দায়িত্ব নেই। কিন্তু যেভাবে সরকার এখন বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রবেশকে ঠেকাচ্ছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে অন্য দেশ কর্তৃক শরণার্থীদের গ্রহণ বিষয়ে নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানকে কি অন্তঃসারশূন্য ছাড়া অন্য কিছু বলা যায়?
যেভাবে রোহিঙ্গাদের চরম দুঃসময়ে বিশ্ব সমাজ নীরব রয়েছে সেটা সত্যিই বিস্ময়কর। তার চেয়ে বেশি বিস্ময়কর হলো মুসলিম বিশ্বের চরম উদাসীনতা। ওআইসি তথা ইসলামী শীর্ষ সম্মেলন থাকা না থাকায় এখন আর কিছু এসে যায় না। এ অবস্থায় বাংলাদেশকে তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে। রোহিঙ্গাদের বিপদে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে ৩টি কারণে।
(১) বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলমান। রোহিঙ্গারাও ধর্ম বিশ্বাসে মুসলমান। ইসলামী ভ্রাতৃত্বের কারণে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
(২) রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের বিশেষ করে চট্টগ্রাম জেলার অভিন্ন প্রতিবেশী। তাদের চেহারা, ভাষা এবং খাদ্যাভ্যাসে বিরাট মিল রয়েছে।
(৩) রোহিঙ্গারা এখন যে জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে সেই জুলুম এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন বাংলাদেশের তৎকালীন সাড়ে ৭ কোটি মানুষ। এসব কারণে বাংলাদেশের মানুষ এবং সরকারকে রোহিঙ্গাদের বিপদের দিনে তাদের পাশে দাঁড়াতেই হবে।
Email: journalist15@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন